বন্যার জলে ভেসে উঠছে একের পর এক মৃতদেহ! কেরল-কর্ণাটকে আতঙ্কের প্রহর অব্যাহত
প্লাবনের জলে ভেসে উঠছে একের পর এক মৃতদেহ!
রাত হলেই আতঙ্ক,.. চারিদিকে শুধু জল,.. কোথাও স্বজনকে খুঁজে না পাওয়ার হাহাকার, কোথাওবা ক্ষুধার কান্না গ্রাস করেছে সমস্ত ক্লান্তিকে! এভাবেই গত কয়েকদিনে কেরল, কর্ণাট সহ দক্ষিণভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য আতঙ্কের প্রহর কাটাচ্ছে। তারমধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি কেরলে। সেখানে প্রবল বন্যায়র অভিশপ্ত স্মৃতি কাটবার এক বছরের মাথায় ফের নতুন করে প্লাবন রীতিমতো আতঙ্কে রেখেছে মানুষকে। পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে কর্ণাটকেও।
|
কেরলে ভূমিধস আর মৃতদেহ উদ্ধার
কেরলের স্বপ্নসুন্দর পর্যটন কেন্দ্র তথা রাহুল গান্ধীর সংসদীয় এলাকা ওয়েনাদে এই মুহূর্তে প্রবল বিপর্যয় নেমে এসেছে বন্যার জেরে। সেখানে বনসুরা সাগর বাঁধের জল ছেড়ে দিতেই কার্যত ওয়েনাদের পরিস্থিতি আরওারাপ হয়ে উঠেছে। এদিকে, ক্রমেই ফুঁসছে কেরলের পেরিয়ার নদী। সব মিলিয়ে এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। ক্রমেই বন্যার জলে উঠে আসছে একের পর এক মৃতদেহ। কয়েক লক্ষ মানুষ। সেখানে বানভাসী। রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।
|
কর্ণাটকে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত
ক্রমেই কর্ণাটকের পরিস্থিতিও বেশ খারাপ হচ্ছে। সেখানে কাবিনি নদীর জল ফুঁসে উঠে বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। ফলে মাইসুরু কার্যত বানভাসী হওয়ার আশঙ্কায়। পরিস্থিতি দেখতে আকাশপথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন বিজেপি শাসিত কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। এপর্যন্ত কন্নড়ভূমে বন্যার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের।
|
ট্রেন পরিষেবা বিপর্যস্ত
প্রবল বর্ষণের জেরে কেরলের পরিস্থিতি রীতিমতো বিপর্যস্ত। বাণের জেরে থিরুনাভয় ও মালাপ্পুরামে ট্রেন পরিষেবা বিধ্বস্ত। গোটা কেরলে একাধিক ট্রেন বন্ধ রয়েছে । বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধসের জেরে স্তব্ধ রয়েছে ট্রেন পরিষেবা। একই পরিস্থিতি কর্ণাটকেও।