কেরলে বন্যার পর এবার 'ইঁদুর জ্বর' এর মারণ ফাঁদ, মৃত ৪২, আক্রান্ত ২ হাজার মানুষ
কেরলে বন্যার জল নামতেই নানা রোগ-ব্যাধির আশঙ্কা করা হয়েছিল। আর হয়েছেও তাই। কেরলে মারণ ব্যাধি লেপ্টোস্পিরোসিসে অন্তত হাজার দুয়েক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
কেরলে বন্যার জল নামতেই নানা রোগ-ব্যাধির আশঙ্কা করা হয়েছিল। আর হয়েছেও তাই। কেরলে মারণ ব্যাধি লেপ্টোস্পিরোসিসে অন্তত হাজার দুয়েক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যাকে সাধারণভাবে ইঁদুর জ্বর বলা হয়। এখনও পর্যন্ত ৪২ জনের এই ব্যাধিতে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সরকারিভাবে ১০০৬ জনের জ্বরের খবর নিশ্চিতভাবে পাওয়া গিয়েছে। গত পাঁচদিনে ১৯১৩ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। কোঝিকোড়ে নতুন করে ৫৭ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। যার ফলে শুধু কোঝিকোড়েই ২৩৯ জন এই ইঁদুর জ্বরে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে।
আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, বন্যার পর সুস্থ থাকতে প্রয়োজন ডক্সিসিকলাইন ওষুধ সরকারের ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত নেই। তবে সরকার জানিয়ে দিয়েছে, কোঝিকোড়ে বন্যার সময়ে ১ লক্ষ ট্যাবলেট আকাশপথে ফেলা হয়েছিল। তাতে সকলের ভাগ্যে তা জোটার কথা। তা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত স্টক মজুত রয়েছে।
তবে এখন নতুন করে এত জ্বরের ঘটনা ঘটছে কারণ সেই সময়ে বহু মানুষ ওষুধ নেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না। সকলের হাতে ওষুধ সম্ভবত পৌঁছয়নি। আর ডক্সিসিকলাইন ওষুধ তখনই কাজ করবে যদি তা জ্বরের আগে নেওয়া থাকে। জ্বরের পরে নিলে তা কোনও কাজ করে না।
এই রোগে উচ্চ মাত্রায় জ্বর, মাথা ব্য়থা, বমি ভাব, ক্লান্তি, মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব হয়। এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। এই সমস্যা ধরা না পড়লে চিকিৎসকেরা অন্য ওষুধ দিচ্ছেন। তবে ঘটনা হল, আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে কেরলে। যেন নতুন মহামারীর আকার নিয়েছে।