করোনা লকডাউনের জেরে অনাহারের মোকাবিলা, নয়া বন্দোবস্ত কেরল সরকারের
দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। এই লকডাউনের জেরে অনেকে অনারাহের থাকতে হতে পারে বলে আশঙ্কা। তবে এরইমধ্যে কেরল সরকার জানিয়েছে, তারা কমিউনিটি কিচেনের বন্দোবস্ত করছে।
দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। এই লকডাউনের জেরে অনেকে অনারাহের থাকতে হতে পারে বলে আশঙ্কা। তবে এরইমধ্যে কেরল সরকার জানিয়েছে, তারা কমিউনিটি কিচেনের বন্দোবস্ত করছে। স্থানীয় নির্বাচিত সংস্থাগুলি এই কমিউনিটি কিচেনের বন্দোবস্ত করবে। কোনও মানুষ যদি খাবারে জন্য ফোন করেন, তাহলে স্বেচ্ছাসেবকরা ঘরের দরজায় পৌঁছে দেবে বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় সংস্থাগুলি হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের জন্যও খাবারের বন্দোবস্ত করবে বলে জানানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের আশঙ্কা বর্তমান পরিস্থিতি মানুষকে অনাহারের দিকে ঠেলে দেবে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কেরলে কাউকেই অনাহারে থাকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। এর জন্য স্থানীয় নির্বাচিত সংস্থাগুলিকে দায়িত্ব নিতে হবে, যাতে যাঁরা খাবার তৈরি করতে পারছেন না, তাঁদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রত্যেকের সমস্যা একটি কেন্দ্রের মাধ্যমে করা সম্ভব নয়। সেই কারণে বিকেন্দ্রিকরণের মাধ্যমে ওয়ার্ড ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
কমিউনিটি কিচেনের বন্দোবস্ত
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন স্থানীয় নির্বাচিত সংস্থা, পঞ্চায়েত, পুরসভাগুলিকে কমিউনিটি কিচেনের বন্দোবস্ত করতে হবে। তাদেরকেই দেখতে হবে এলাকায় কতজনের খাবারের প্রয়োজন। অনেকেই সামনে থেকে খাবারের প্রয়োজনের কথা বলতে লজ্জা করেন। তাঁদের জন্য ফোন নম্বরের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
বাইরের রাজ্যের শ্রমিকদের জন্যও ব্যবস্থা
করোনা ভাইরাসে লকডাউন শুরু হয়ে গেলেও, অনেক পরিযায়ী শ্রমিক তাদের রাজ্যে ফিরে যেতে পারেননি। তাদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য স্থানীয় নির্বাচিত সংস্থাগুলি ছাড়াও রাজ্য সরকারের তরফে অর্থ দফতরকে বলা হয়েছে খাবার এবং থাকার জায়গার বন্দোবস্ত করতে। কেরলে এখনও রয়ে গিয়েছেন উত্তর ভারত ও উত্তর পূর্ব ভারত থেকে যাওয়া শ্রমিকরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেরলে অর্ডিন্যান্স জারি
কেরল সরকারের তরফে কেরল এপিডেমিক ডিজিজেস অর্ডিন্যান্স ২০২০ জারি করার জন্য রাজ্যপালের কাছে অনুরেধ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি কিংবা সংস্থা এখনও নিজেদের মতো করে অনুষ্ঠান করে চলেছেন, তার ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হবে।