সিএএ ও এনআরসি নিয়ে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে বিরোধীদের বৈঠকে থাকছেন না কেজরিওয়ালও!
সিএএ ও এনআরসি নিয়ে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে একজোট হয়েছে বিরোধী পক্ষ। সিএএ,এনআরসির বিরোধিতায় উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ। অবিজেপি দলগুলি মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বিচ্ছিন্ন আন্দোলন না করে এই নিয়ে একজোট হতে আগামিকাল বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এই বৈঠকের মূল উদ্যোক্তা অবশ্যই কংগ্রেস। আজ সংসদের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে দুপুর ২টোয় বৈঠকে বসবে।
আম আদমি পার্টিও থাকছে না
তবে বিরোধীদের এই বৈঠকে থাকছেন না বিরোধী রাজনীতির দুই হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী। যা নিয়ে শুরু হয়েছে শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কী এনআরসি আর সিএএ নিয়ে বিরোধী ঐক্যে ফাটল দেখা দিয়েছে? এদিকে আজ সকালেই খবর পাওয়া যায় এই দুই নেত্রীর পর দিল্লির আম আদমি পার্টিও থাকছে না এই বৈঠকে।
কংগ্রেসকে তোপ মমতা মায়াবতীর
কয়েকদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ, এনআরসি বিরোধী আন্দোলন নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেস আন্দোলনের নামে হিংসা ছড়াচ্ছে। আবার পশ্চিমবঙ্গের সিপিআইএম থেকে কেরলের সিপিআইএম ভালো বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে মায়াবতীও কয়েকদিন আগে রাজস্থানের কোটায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন।
মমতাকে ইয়েচুরির বার্তা
এদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী সহ কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নীতির বিরোধিতায় রাজ্যভিত্তিক রাজনৈতিক বিরোধকে দূরে সরিয়ে রাখার আবেদন করে মমতাকে বার্তা দিয়েছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। এই বিষয়ে তিনি বলেন, 'দেশের নিরপেক্ষ গণতন্ত্রের প্রতিরক্ষার বিরুদ্ধে ভয়াবহ শক্তি আস্ফালন করছে আরএসএস, বিজেপি। গণতন্ত্র রক্ষা করা প্রতি দেশপ্রেমিকের কাজ। সংবিধান রক্ষার্থে রাজ্য ভিত্তিক ভেদ বা শত্রুতা আসা উচিত নয়। আমরা কেরলে দেখিয়েছি কিভাবে লড়াই চালাতে হয়।' তবে এই বার্তার পরও মমতা বৈঠকে যোগ দেবেন বলে কোনও খবর নেই।