
আর্থিক তচ্ছরূপ মামলায় ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেজরিওয়ালের মন্ত্রী'র
এবার ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে দিল্লির স্বাস্থ্য তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন৷ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভার অন্যতম এই সদস্যের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। সোমবার দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়।

ইডির হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁকে আদালতে পেশ করা হয় সোমবার। গত ৩০ মে গ্রেফতার করা হয়েছিল সত্যেন্দ্র জৈনকে। আদালতের বিশেষ বিচারপতি গীতাঞ্জলি গোয়েল সত্যেন্দ্রের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছেন ১৩ জুন অবধি। মঙ্গলবার সকালে তাঁর জামিনের আবেদন শোনা হবে৷
ইডির প্রতিনিধি এএসজি এসভি রাজু আদালতে বলেন, এই ক'দিনে জিজ্ঞাসাবাদের পর একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে বহু তথ্য, অর্থ উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ হঠাৎ করে নয়। ২০১৭ সালেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল।
সেই এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছিল, হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির মালিক সত্যেন্দ্র। আম আদমি পার্টির অন্যতম নেতা সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁর গ্রেফতারিতে স্বাভাবিকভাবেই হইচই পড়ে গিয়েছে দিল্লিজুড়ে৷ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সত্যেন্দ্র জৈনের শীর্ণকায় অবস্থায় একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেন আম আদমি পার্টির কর্মী সমর্থকরাও।
তাঁরা সত্যেন্দ্রর এই অবস্থার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন। তাঁদের কথায়, ইডি হেফাজতে অমানবিক অত্যাচার করা হয়েছে সত্যেন্দ্রকে। আম আদমি পার্টির মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, 'ইডি শুধুমাত্র অপমান এবং অত্যাচার করার জন্য সত্যেন্দ্রকে আটকে রেখেছে। তবে তিনি একজন শক্ত মনের মানুষ৷ ঈশ্বরে সম্পূর্ণ আস্থা আছে তাঁর।'