চিকিৎসকের নিষেধ অমান্য করেই অনশন করেছেন, দিল্লিবাসীকে মনে করালেন কেজরিওয়াল
আর হাতে গোনা সময় রয়েছে দিল্লিবাসীর হাতে। তারপরেই ভোট বাক্সে রায় জানাতে হবে। প্রচার এখন চলছে জোর কদমে।
আর হাতে গোনা সময় রয়েছে দিল্লিবাসীর হাতে। তারপরেই ভোট বাক্সে রায় জানাতে হবে। প্রচার এখন চলছে জোর কদমে। ইতিমধ্যে প্রচার যুদ্ধ তুঙ্গে পৌঁছে গিয়েছে বিজেপি এবং আপ। কেজরিওয়ালকে জঙ্গি বলে আক্রমণ করেছে বিজেিপ। পাল্টা আক্রমণ শানাতে গিয়ে আবেগান্বিত হয়ে পড়ে কেজরিওয়াল বলেছেন, একসময় এমন িছল যখন চিকিৎসকের নিষেধ অমান্য করেই দিল্লিবাসীর জন্য অনশনে বসেছিলেন তিনি। কারণ কেজরিওয়াল নিজে ডায়াবেটিসের রোগী। তাই অনশন তাঁর পক্ষে প্রাণ হানিকর। সেই আশঙ্কা উপেক্ষা করেই দিল্লিবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। তারপরেই তাঁকে জঙ্গি শব্দ শুনতে হচ্ছে।
আবেগান্বিত কেজরিওয়াল
নির্বাচনী প্রচারে বিজেপিকে কড়া জবাব দিেত গিয়ে নিজেই আবেগান্বিত হয়ে পড়েন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, ডায়াবেটিস সত্ত্বেও দিল্লি বাসীর জন্য লাগাতার অনশন করেছেন। দিনে চারবার ইনিসুলিন নিতে হত তাঁকে। ইনিসুলিন নেওয়া কোনও ব্যক্তি দিনে তিন চার ঘণ্টা না খেলে যেকোনও মুহুর্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে। সেসম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েই এক প্রকার দিল্লি বাসীর জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত অনশন করেছেন বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। কেজরিওয়াল দাবি করেছেন চিকিৎসকা তাঁকে জানিয়েছিল এভাবে অনশন করলে ২৪ ঘণ্টার বেশি বাঁচবেন না তিনি। কিন্তু কারোর কথা না শুনেই দিল্লিবাসীর কথা ভেবেছিলেন।
বিজেপিকে আক্রমণ
এই পরিমাণ দেশবাসীর সেবা করেও তাঁেক জঙ্গি প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। গত পাঁচ বছর ধরে সবরকম ভাবে তাঁকে হেনস্থার চেষ্টা করেছে বিজেপি। বাড়িতে , অফিসে রেড করিয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁকে জঙ্গি প্রমাণ করার সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনড়
২০১২ সালে আন্না হাজারের সঙ্গে অনশনে বসার একটি ভিডিও শেয়ার করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন, দু্র্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে যদি তাঁর প্রাণও দিতে হয় তিনি পিছপা হবেন না। কারণ এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আবার ভারত মাতার মাটিতেই জন্ম নিয়ে আসবেন। সেই জন্যই গত পাঁচবছের একটি প্রতিশ্রুতিও অপূর্ণ রাখেননি বলে দাবি করেছেন কেজরিওয়াল। তবে এবার দিল্লিবাসীকে উত্তর দিতে হবে বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।