অবশেষে গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার কেজরিওয়ালের গাড়ি, চোরের খোঁজে তল্লাশি
অবশেষে উদ্ধার হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নীল ওয়াগন আর গাড়িটি, গাজিয়াবাদের মোহন নগরে নরেন্দ্র মোহন হাসপাতালের কাছে পরিত্যক্ত অবস্থায় গাড়িটিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়
খোয়া যাওয়ার দুদিন পর অবশেষে উদ্ধার হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নীল ওয়াগন আর গাড়িটি। গাজিয়াবাদের মোহন নগরে নরেন্দ্র মোহন হাসপাতালের কাছে একটি সার্ভিস রোডে পরিত্যক্ত অবস্থায় গাড়িটিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গাড়িটি লক ছিল না বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এবং গাড়ির ভেতর থেকে একটি তরোয়াল উদ্ধার করা হয়েছে।
তরোয়ালটিকে ইতিমধ্যেই ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র ডিসিপি মধুর ভার্মা। এছাড়াও একটি ব্য়াডমিন্টন র্যাকেট , একটি মানিব্যাগ, এক জোড়া জুতো ও বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়িটিকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়েছে। ডিসিপি মধুর ভার্মা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন ব্যক্তির একটি স্কেচ তৈরি করা হয়েছে এবং পুলিশের হাতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এটা কোনও সাধারণ গাড়িচোরের কাজ। দিল্লির সচিবালয়ের সামনে থেকে গাড়িটি চুরি করে সে বিক্রি করার মতলবে ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি চুরি নিয়ে হইহই পড়ে যাওয়ায় ভয় পেয়েই গাড়িটি গাজিয়াবাদে সে ফেলে রেখে পালায় বলে মনে করছে পুলিশ।
গাজিয়াবাদের এসএসপি হরিনারায়ণ সিং জানিয়েছেন, সকাল পৌনে সাতটা নাগাদ প্রীতম নামে একজন ফোন করে ওয়াগর আর গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার খবর দেয়। ওই এলাকার ১৮টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে গাড়ি চোর কোন পথে এসেছে,তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছে। গাড়ির ড্যাশবোর্ডের ওপরই মানিব্যাগটি পড়ে থাকলেও তা ছুঁয়ে দেখা হয়নি বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কেজরিওয়ালের গাড়িতে কোনও জিপিএস, গিয়ার লক বা অটো লক ছিল না। যার ফলে চোরের পক্ষে গাড়ির ডোর লক ভেঙে তা নিয়ে যাওয়া একেবারেই জলভাত ছিল। যতক্ষণে কেজরিওয়াল বুঝেছেন তাঁর গাড়ি চুরি হয়েছে, ততক্ষণে গাড়িটি নিয়ে চোর শহর ছেড়ে বেরিয়ে যায় বলেই পুলিশের অনুমান। দিল্লি সচিবালয়ের সামনের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে যে গাড়ি চোর সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরে ছিল। সে মোহন নগরেরই বাসিন্দা বলে অনুমান পুলিশের। আপাতত গাড়িচোরের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ।