জাতীয় রাজনীতিতে আছেন মমতার চ্যালেঞ্জার! দিল্লিতে মোদীর দুর্গ ভাঙতে এগোচ্ছেন আরও এক মুখ্যমন্ত্রী
জাতীয় রাজনীতিতে আছেন মমতার চ্যালেঞ্জার! দিল্লিতে মোদীর দুর্গ ভাঙতে এগোচ্ছেন আরও এক মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। ইতিমধ্যেই তিনি সেই নির্বাচনকে লক্ষ্য করে প্রস্তুতি শুরু করেছেন। বিজেপি ও কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বারবার ছুটে যাচ্ছেন উত্তর প্রদেশে। মোদী (Narendra Modi) সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে একটিদেক যেমন কংগ্রেসকে (Congress) আক্রমণ করছেন, অন্যদিকে জাতীয় পর্যায়ে কংগ্রেস বিরোধী ঐক্য তুলে ধরতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেছেন। যদিও এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অপর এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও মোদীকে আক্রমণ শানাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রিত্বের উচ্চাকাঙ্খা কেসিআরএ-র মধ্যেও
সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে যাঁরা তীব্র আক্রমণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থকরা যেমন মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলে সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন এই মুহূর্তে তেলেঙ্গানায় কেসিআর-এর সমর্থকদের মধ্যেও তা দেখা যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, কেসিআর-এর এই আক্রমণ প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে তাঁর উচ্চাকাঙ্খাকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে।
উভয়েই অবস্থানের পরিবর্তন করেছেন
তুলনামূলকভাবে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
এবং
কেসিআর
উভয়েই
তাঁদের
অবস্থান
পরিবর্তন
করেছেন।
একটা
সময়ে
বিজেপির
সঙ্গে
থাকা
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
গোধরা
দাঙ্গার
পরেও
তৎকালীন
গুজরাতের
মুখ্যমন্ত্রী
মোদীকে
ফুলের
তোড়া
পাঠিয়েছিলেন।
যা
নিয়ে
এখনও
পশ্চিমবঙ্গে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বিরোধী
রাজনীতিকরা
কটাক্ষ
করে
থাকেন।
অন্যদিকে
কে
চন্দ্রশেখর
রাও
একটা
সময়
মোদীর
সমর্থক
ছিলেন।
কিন্তু
এই
মুহূর্তে
জাতীয়
রাজনীতিতে
তিনি
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মতোই
প্রধানমন্ত্রী
মোদী
বড়
সমালোচক
হয়ে
উঠেছেন।
একটা
সময়ে
কেসিআর
এবং
তাঁর
দলকে
বিজেপির
বিটিম
বলেই
আক্রমণ
করত
সেই
রাজ্যের
অন্য
বিরোধীরা।
যখন
অন্য
বিরোধীরা
কোন
বিলকে
সংসদে
সমর্থন
করেনি,
সেই
সময়
টিআরএসকে
সেই
বিল
সমর্থন
করতে
দেখা
গিয়েছে
অতীতে।
মমতা বনাম কেসিআর
রাজ্য
রাজনীতিতে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বিরুদ্ধে
যেমন
মুসলিমদের
প্রতি
অনুগত
হওয়ার
অভিযোগ
রয়েছে,
অন্যদিকে
কেসিআর-এর
বিরুদ্ধে
দলিতদের
প্রতি
অনুগত
হওয়ার
অভিযোগ
রয়েছে।
কেসিআর-এর
সরকার
দলিরদের
ব্যবসা
শুরু
করতে
দলিত
বন্ধু
স্কিমও
চালু
করেছে।
যেখানে
১০
লক্ষ
টাকা
করে
দেওয়া
হয়।
কেসিআর
এবং
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
উভয়েই
জাতীয়
রাজনীতিতে
অন্যসব
আঞ্চলিক
শক্তি
যেমন
মহারাষ্ট্রের
শরদ
পাওয়ার,
তামিলনাড়ুর
স্ট্যালিন,
দিল্লির
কেজরিওয়াল
এবং
বিহারের
লালুপ্রসাদ
যাদবের
মতো
নেতার
সঙ্গে
যোগাযোদ
রেখে
চলেন।
চন্দ্রশেখর
রাও
নিজের
তেলগু
ভাষা
ছাড়াও
ইংরেজি
এবং
হিন্দিটাও
ভাল
বলতে
পারেন।
যা
তাঁকে
জাতীয়
রাজনীতির
লড়াইয়ে
অনেকই
সুবিধাজনক
জায়গায়
নিয়ে
যাবে
বলেই
মনে
করেন
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকরা।
মোদীর বিরুদ্ধে সরব কেসিআর
পাঁচ
রাজ্যে
ভোটের
প্রক্রিয়া
শুরুর
পরেই
কেসিআর
জাতীয়
পর্যায়ে
প্রধানমন্ত্রীকে
আক্রমণ
করার
পাশাপাশি
নিজের
রাজ্যেও
বিজেপিকে
তীব্র
আক্রমণ
করছেন।
যদিও
তেলেঙ্গানায়
নির্বাচন
হতে
এখনও
প্রায়
২২
মাস
দেরি।
কেসিআর
ইতিমধ্যেই
বিজেপির
গুজরাত
মডেল
নিয়ে
প্রশ্ন
তুলেছেন।
প্রসঙ্গত
২০১৪
সালের
প্রচারে
বিজেপি
গুজরাত
মডেলকে
সামনে
রেখেই
প্রচারে
নেমেছিল।
বর্তমান
সময়ে
নির্বাচনী
সমাবেশগুলিকে
প্রধানমন্ত্রী
মোদীর
পোশাক
নিয়ে
কটাক্ষ
করতে
গিয়ে
কেসিআর
বলেছএন
ওপর
শেরওয়ানি,
অন্দর
পরেশানি।
অর্থাৎ
ওপরে
চকচকে
বলেও
ভিতরে
কিছুই
নেই।
এই
মাসের
শুরুতেই
তিনি
প্রধানমন্ত্রীকে
কটাক্ষ
করতে
গিয়ে
বলেছেন,
পশ্চিমবঙ্গে
নির্বাচনের
সময়
তিনি
রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের
মতো
দাঁড়ি
রেখেছিলেন।
আর
তামিলনাড়ুর
প্রচারে
গিয়ে
তিনি
লুঙি
পরেছিলেন।
আর
পঞ্জাবের
নির্বাচনী
প্রচারে
গিয়ে
তিনি
পাগরি
পরেছিলেন।
অন্যদিকে
মনিপুরে
আর
উত্তরাখণ্ডের
প্রচারে
সেখানকার
টুপি
পরেছিলেন।
বারবার
পোশাক
পরিবর্তনের
বিষয়টিকে
তিনি
প্রধানমন্ত্রীর
ছলচাতুরি
বলেও
কটাক্ষ
করেছিলেন।
মোদীর সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ
মোদীর সরকারকে পুরোপুরি ব্যর্থ বলে মন্তব্য করতে গিয়ে কেসিআর বলেছেন, কৃষি আইন সংস্কারের চেষ্টা পাগলামি ছাড়া কিছুই নয়। এরই মধ্যে তিনি রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে গেলেও হায়দরাবাদে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানাতে যাওয়া এড়িয়ে গিয়েছিলেন। জাতীয় পর্যায়ে লড়াইয়ে জন্য তিনি তেলেঙ্গানার মানুষের কাছে সমর্থন চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে রাজ্যের মানুষ চেষ্টা করবে। যদি রাজ্যের মানুষ সমর্থন করেন, তাহলে তিনি দিল্লির দুর্গ ভাঙতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
প্রস্তুতি নিচ্ছেন আগে থেকেই
তবে হঠাৎই নয়, কেসিআর প্রস্তুতি শুরু করেছেন আগেই। তেলেঙ্গানার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৮ সাল থেকে এই প্রস্তুতির শুরু। যে কারণে ২০১৯-এর মার্চ-এপ্রিলে রাজ্যের নির্বাচনের কথা থাকলেও, তা তিনি ডিসেম্বরেই করিয়ে নিয়েছিলেন। কেসিআর অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই কংগ্রেসকেও নিশানা করেছেন। কংগ্রেসকে রাজ্যের বড় শত্রু বলে উল্লেখ করে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করেছিলেন।