মোদীর জয়রথ থামাতে কেসিআর-এর ডাকে সাড়া মমতার, কেন্দ্রে বিজেপি-কংগ্রেসহীন জোটের বার্তা
তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসি রাও উত্তর-পূর্বের ফলাফল বেরনোর পরই বিজেপি ও কংগ্রেস হীন জাতীয় ফ্রন্ট গড়ে আগামী লোকসভা ভোটে লড়ার জন্য ডাক দিয়েছেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সম্মতি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসি রাও উত্তর-পূর্বের ফলাফল বেরনোর পরই বিজেপি ও কংগ্রেস হীন জাতীয় ফ্রন্ট গড়ে আগামী লোকসভা ভোটে লড়ার জন্য ডাক দিয়েছেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সম্মতি জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ডাকে সাড়া দিয়েছেন আরও অনেক নেতাই।
কেসি রাওয়ের সঙ্গে টেলিফোনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় রাজনীতিতে বদল আনতে তিনি একসঙ্গে হাত ধরে কাজ করবেন।
শনিবার তেলাঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি বা টিআরএস সভাপতি রাও বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে রাজনৈতিক বদল আনতে তিনি তৈরি।
'মানুষ বদল চাইছে। যদি বিজেপিকে সরিয়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে তাহলে আমরা নতুন কিছু পাব কি? এটা তৃতীয় ফ্রন্ট বা অন্য যা কিছু হতে পারে। আলোচনা চলছে। এই নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই। ', বলেছেন রাও।
টিআরএস প্রধান মনে করছেন, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এনডিএ বা ইউপিএ কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তাই আঞ্চলিক দলগুলিকে এগিয়ে এসে বৃহত্তর জোট তৈরি করতে হবে।
কেসিআর ১৯৮৯ সালে টিডিপি-র হাত ধরেছিলেন। পরে চন্দ্রবাবু নাইড়ু যখন তৃতীয় ফ্রন্টের কনভেনর হন তখনও কেসিআর তাঁর সঙ্গ দেন। ঘটনা হল, গতমাসেই এনডিএ ছাড়তে চেয়ে এক পা বের করে ফেলেছিল টিডিপি। এখুনি না ছাড়লেও ভোটের আগে চন্দ্রবাবু এনডিএ ছেড়ে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে জাতীয় ফ্রন্ট তৈরি হলে কেসিআর ও চন্দ্রবাবু ফের হাত ধরাধরি করতে পারবেন।
এছাড়া বিজেপি যেভাবে ১.৫ শতাংশ ভোট থেকে একলাফে ত্রিপুরায় ৪২ শতাংশ ভোটে পৌঁছে গিয়েছে তাতে বাংলা তথা তেলাঙ্গানায় বিপদের আশঙ্কা সঠিক আন্দাজ করেছেন কেসিআর বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নিজ এলাকায় সংগঠন ও ভোট ধরে রাখতে বিজেপি ও কংগ্রেসকে ঠেকাতে জাতীয় ফ্রন্টই মোক্ষম দাওয়াই হতে চলেছে বলে তাঁরা মনে করছেন। এখন দেখার কীভাবে এই রাজনৈতিক জোট ডালপালা মেলে।