৩৭০ ধারা ওঠার পরে চার মাসে ১৫ হাজার কোটি টাকা লোকসান কাশ্মীরে
৩৭০ ধারা ওঠার পরে চার মাসে ১৫ হাজার কোটি টাকা লোকসান কাশ্মীরে
জম্মু–কাশ্মীরের ওপর থেকে যখন ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল এবং তাকে দু’ভাগে ভাগ করে দেওয়া হল, সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন যে রাজ্যে নতুন বিকাশের দরজা খুলে গেল। যদিও কাশ্মীর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেসিসিআই) জানিয়েছে, উন্নয়ন হওয়ার পরিবর্তে ১৫ হাজার কোটি লোকসান হয়েছে ৫ আগস্টের পর থেকে, যার প্রভাব পড়েছে কাশ্মীরের অর্থনীতিতে।
কেসিসিআই–এর সভাপতি শেখ আশিখ হুসেন বলেন, '৫ আগস্টের পর উপত্যকায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে, প্রভাব পড়েছে কাশ্মীরের অর্থনীতিতে। আমরা একসপ্তাহের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আসব।’ হুসেন আরও জানান যে, অর্থনীতির লোকসানই শুধু নয়, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ, প্রতিবাদ ও অবরোধের জন্য অনেকেই চাকরি খুইয়েছে। হস্তশিল্প, পর্যটন এবং ই–কমার্স ক্ষেত্রের অবস্থা করুণ, কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের আগে এই তিনটি ক্ষেত্র যথেষ্ট সফল ছিল। যদিও অনেক নিষেধাজ্ঞাই শিথীল করে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে উপত্যকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বেশ কিছু জায়গায় এখনও বন্ধ রয়েছে। যদিও প্রিপেইড মোবাইল পরিষেবা চালু করা হলেও তাও কখন বন্ধ করে দেওয়া হবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।
হুসেন বলেন, 'হস্তশিল্প ক্ষেত্রে ৫০ হাজার মানুষ তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছুইন্ন হয়ে যাওয়ার ফলে কারিগররা আর কোনও নতুন অর্ডার পাচ্ছেন না। এমনকী দক্ষ কারিগররা নিজেদের প্রতিদিনের চাহিদা পূরণের জন্য জোর করে বেমানান কাজ করছেন।’ তাঁর আরও দাবি, হোটেল এবং রেস্তোরাঁ ইন্ডাস্ট্রিতে তিন হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। অন্যদিকে ক্যুরিয়ার সার্ভিস সহ ই–কমার্স ক্ষেত্রেও অবস্থা একই, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অনলাইনে কোনও অর্ডার আসছে না। এখানে ১০ হাজার জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে তথ্য–প্রযুক্তি সংস্থাগুলি, কারণ ইন্টারনেট পুনরুদ্ধারের জন্য তাদেরকেই প্রয়োজন হচ্ছে। কিন্তু এটা ছাড়া গোটা কাশ্মীরের বাণিজ্যে ধস নেমেছে, জানান কেসিসিআই সভাপতি।
মুকুলের সভায় বাধা, গার্ডেনরিচে আটকানো হল গাড়ি