তৃতীয় ফ্রন্টের প্রচেষ্টা জমছে না, স্ট্যালিনের বার্তা শুনে ব্যর্থ মনোরথ কেসিআর
কেন্দ্রে অ-কংগ্রেসী ও অ-বিজেপি জোট সরকার গঠনের জন্য তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ে তোলার লক্ষ্যে পঞ্চম দফা ভোটের শেষেই তোড়জোড় শুরু করেছিলেন স্ট্যালিন।
কেন্দ্রে অ-কংগ্রেসী ও অ-বিজেপি জোট সরকার গঠনের জন্য তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ে তোলার লক্ষ্যে পঞ্চম দফা ভোটের শেষেই তোড়জোড় শুরু করেছিলেন স্ট্যালিন। কিন্তু তৃতীয় ফ্রন্টের লক্ষ্যে ভারত পরিদর্শন করলেও সে অর্থে সাড়া পাচ্ছেন না তিনি। কার্যত ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ফিরছেন বিভিন্ন রাজ্য থেকে।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও সোমবার ডিএমকে সভাপতি এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। স্ট্যালিন তাঁকে সরাসরিই বুঝিয়েই দেন, তৃতীয় ফ্রন্টের কোনও সম্ভাবনাই নেই। হয় এনডিএ, নতুবা ইউপিএ গড়বে সরকার। তাঁর স্থির বিশ্বাস, এবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে ইউপিএই।
স্ট্যালিন আগেই ঘোষণা করেছিলেন এবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর পূর্ণ সমর্থনও তিন দান করেছিলেন রাহুল গান্ধীকে। এবার তাঁর সঙ্গে বৈঠকে কেসিআরের তৃতীয় ফ্রন্টের প্রস্তাব কার্যত খারিজ হয়ে গেল। এর আগে দুবার তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। কিন্তু সে অর্থে জমাতে পারেনি তৃতীয় ফ্রন্টের সম্ভাবনা।
আবার ওড়িশার প্রধানমন্ত্রী, অন্ধ্রপ্রদেশের বিরোধী দলনেতা জগমোহন রেড্ডি, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। বৈঠক করেন ফারুক আবদুল্লা থেকে শুরু করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, জোট প্রস্তাব দেন অখিলেশ ও মায়াবতীকেো। কিন্তু কোনওভাবেই তিনি তৃতীয় ফ্রন্টের দাবিকে স্ট্যান্ড করাতে ব্যর্থ।
সোমবার চেন্নাইয়ে স্ট্যালিনের বাসভবনে দুই নেতার সাক্ষাৎ নিয়ে উত্তেজনা চরমে ওঠে। কারণ কেসিআর অ-কংগ্রেসি ও অ-বিজেপি সরকার গঠনের সওয়াল করলেও তিনি বিজেপির বন্ধুভাবাপন্ন বলেই পরিচিত। অপরদিকে স্ট্যালিনের কংগ্রেস-প্রীতি সর্বজনবিদিত। তাই দুই বিপরীত মনোভাবাপন্ন পার্টি প্রধানের সাক্ষাৎ নিয়ে চর্চা শুরু হয়। তাদের মধ্যে তৃতীয় ফ্রন্টের সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়।
কিন্তু স্ট্যালিন তা কার্যত খারিজ করে দেন। তবে হাল ছাড়তে রাজি নন কে চন্দ্রশেখর রাও। এবার তিনি কুমারস্বামীর সঙ্গে কথা বলতে চান। তাঁর কাছে তুলে ধরতে চান ১৯৯৬ সালের জোট সরকারের দৃষ্ট্বান্ত। কারণ তিনি মনে করেন, দেশের মানুষ এবার তৃতীয় ফ্রন্টের পক্ষে রায় দিয়েছে। পরিস্থিতি তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের দিকেই যাচ্ছে। তাই এবার সময় এসেছে ফেডারেল ফ্রন্ট গড়তে আঞ্চলিক দলগুলোকে এক জায়গায় নিয়ে আসার।