৩৭০ ধারা নিয়ে বিজেপির হাত শক্ত করছে কোন বিরোধী দল! সংসদে কী ঘটছে
জল্পনা ছিলই, আর তা সত্যি করে দিল সোমবারের সকাল। মোদী সরকার দিল্লির তখতে দ্বিতীয়বার এসেই কাশ্মীর নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন।
জল্পনা ছিলই, আর তা সত্যি করে দিল সোমবারের সকাল। মোদী সরকার দিল্লির তখতে দ্বিতীয়বার এসেই কাশ্মীর নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। সংসদে দাঁড়িয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেন , কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হচ্ছে। ঘোষণা শুনেই তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ কক্ষ। শুরু হয় বিরোধীদের তুমুল বিক্ষোভ। তবে এরই মধ্যে সংসদে বিজেপির সমর্থনে আসে এনডিএর বিরোধী শিবির মায়াবতীর নেতৃত্বাধীন বিএসপি।
বিএসপির তরফে এদিন সাফ জানানো হয়, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া ঘিরে তাঁদের পার্টি বিরোধিতা করছে না। অন্য বিল নিয়েও বিজেপি সরকারের বিরোধিতা তাঁরা করছেননা বলে জানিয়ে দেন মায়াবতীর দলের সাংসদ সতীশ চন্দ্র মিশ্র। এদিকে, কংগ্রেসের তরফে এই ধারা তুলে নেওয়ার চরম বিরোধিতা করেন গুলাম নবি আজাদ। প্রসঙ্গত ,দেশ ভাগের পর তৎকালীন কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সরকারের হাত ধরে এই ধারা লাগু হয়। আর সেই ধারা ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার এসে তুলে নেওয়ার ঘোষণার পর রীতিমতো তপ্ত হয়ে যায় সংসদ।
Satish Chandra Mishra, BSP MP, in Rajya Sabha: Our party gives complete support. We want that the Bill be passed. Our party is not expressing any opposition to Article 370 Bill & the other Bill. pic.twitter.com/ajRNKwsUlf
— ANI (@ANI) August 5, 2019
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের প্রস্তাবে তুমুল বিক্ষোভ সংসদে]
এদিকে, কাশ্মীরে এখনও জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। স্তব্ধ রয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। এর আগে , ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি ভূস্বর্গ জুড়ে তুলে নেওয়া হয় ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা। ধাপে ধাপে ৩৮ ০০০ বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয় কাশ্মীরে। এদিকে, দিল্লির বুকে সংসদে শুধুমাত্র ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়াই নয়, অমিত শাহ এদিন জম্মু ও কাশ্মীরে দুটি আলাদা কেন্দ্র শাসিত রাজ্য তৈরির জন্যও প্রস্তাবনাও দেন। সমস্ত কিছু মিলিয়ে আপাতত জাতীয় রাজনীতিত উত্তপ্ত কাশ্মীর নিয়েষ।
[আরও পড়ুন:কাশ্মীর সংকটের জের সেনসেক্সে, রেকর্ড কম পয়েন্টে খুলল শেয়ারবাজার]