বাড়ি ফিরলেন কাশ্মীরের নিখোঁজ ছাত্র! জঙ্গি ডেরার বর্ণনা
শেষ পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে এলেন উত্তর প্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া কাশ্মীরের পড়ুয়া। ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই তরুণ। প
শেষ পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে এলেন উত্তর প্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া কাশ্মীরের পড়ুয়া। ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই তরুণ। পরিবারের তরফে বারবার ফিরে আসার আবেদন জানানো হয়। শেষ পর্যন্ত ওই তরুণ বাড়ি ফের আসে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (কাশ্মীর) এসপি পানি তরুণ বাড়িতে ফিরে আসার যাবতীয় সাফল্য পরিবারকেই দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পরিবারের বারবার আবেদনের ফলেই ওই তরুণ বাড়িতে ফিরে এসেছেন। তরুণের এই বাড়ি ফিরে আসাকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি।
বিষয়টির সংবেদনশীলতার দিকে খেয়াল রেখেই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে সংবাদ মাধ্যমের কাছে তরুণের নাম প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেছেন। পরিবার জানিয়েছে, পুলিশের হাতে আসার আগে তরুণ রক্তাক্ত ছিল।
২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ওই তরুণ। বাবাকে সে জানিয়েছিলব, দিল্লি যাচ্ছে। কিন্তু পুলিশের দেওয়া তথ্য আর কল ডিটেলস অনুযায়ী, সেই সময় ওই তরুণ ছিল জম্মু ও কাশ্মীরে।
৪ অক্টোবর একদল ছাত্র, বিদেশি অভিযোগে ওই তরুণকে মারধর করেছিল বলে অভিযোগ। ভারতীয় এবং আফগান ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।
নিখোঁজ হওয়ার সপ্তাহখানেক পরে কালো পোশাক পরে অস্ত্র-সহ ওই তরুণের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছিল। দাবি করা হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরের আইএস শাখায় সে যোগ দিয়েছে।
যদিও পরে দেখা যায় ছবিটি তৈরি করা হয়েছিল।
তবে
অডিও
বার্তায়
তরুণ
তুলে
ধরেছিল
বিশ্ববিদ্যালয়ের
হামলার
কথা।
সে
জানিয়েছিল,
হামলার
সময়েই
সে
ঠিক
করে
নিয়েছিল
জঙ্গি
সংগঠনে
যোগ
দেবে।
তরুণকে
ক্ষমা
করে
দেওয়া
হয়েছে।
তাই
তাকে
গ্রেফতার
করা
হয়নি।
এর আগে ২০১৭-র নভেম্বরে বছর ২০-র মজিদ খান মায়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা ছেড়ে ফিরে এসেছিলেন। মজিদকে অনুসরণ করে কাশ্মীরের অনেক যুবক ঘরে ফিরে এসেছিলেন।
শ্রীনগরে বসবাসকারী বাবা-মা ও আত্মীয়দের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার ভিডিও ম্যাসেজ পোস্ট করা হয়েছিল তরুণের উদ্দেশে। বাড়ি ফেরার জন্য আবেদন করা হয়।