কাশ্মীরে সেনার চোখে ধুলো দিয়ে জঙ্গিরা নতুন পথ খুঁজে ফেলেছে! কী বলছে তথ্য
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকে কাশ্মীর দেখেছে একাধিক থমথমে পরিস্থিতির ছবি। ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে হাঁটা শ্রীনগরে আজও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হয়েছে গ্রেনেড হামলা। তবে এমন অস্থির পরিস্থিতি ঘিরে উঠে আসছে ফের সন্ত্রাসবাদ ও অনুপ্রবেশের তত্ত্ব। সাম্প্রতিক এক তথ্য বলছে, কাশ্মীরের এই উত্তাল পরিস্থিতির নেপথ্যে রয়েছে ফের অনুপ্রবেশ বিতর্ক।
কাশ্মীরে বাড়ছে অনুপ্রবেশ
জম্মু ও কাশ্মীরে গত ৫ অগাস্ট থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া নিয়ে প্রশাসন চরম আঁটোসাটো অবস্থান নিয়েছিল। বিভিন্ন সময় সেখানে বহু অনুপ্রবেশকারী ধরাও পড়েছে। তবে তা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনের খবর অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, গত ৫ অগাস্ট থেকে কাশ্মীরে বেড়েছে অনুপ্রবেশ।
২০১৮ অগাস্টের তুলনায় ২০১৯ অগাস্টে কতজন জঙ্গি অনুপ্রবেশ করেছে?
এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, গত ২০১৮ সালে র অগাস্ট মাসে কাশ্মীরে প্রবেশ করেছিল ১০ জন জঙ্গি। আর এবছর ৫ অগাস্ট ২৭০ ধারা কাশ্মীর থেকে তুলে দেওয়ার পর প্রবেশ করেছে ২৪ জন জঙ্গি।
প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে বাড়ল অনুপ্রবেশ?
৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পর থেকে গোটা দেশে আরও নিরাপত্তার কড়াকড়ি করা হয়েছে। কাশ্মীর কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে গিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিভাবে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ ঘটছে জঙ্গিদের , তা খুঁজে বার করেত নাজেহার প্রশাসন। মনে করা হচ্ছে, কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের জন্য নতুন রাস্তা খুঁজে পেয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গিরা।
কোন কোন এন্ট্রি রুট খুঁজে পেয়েছে সেনা?
গোটা কাশ্মীর জুড়ে খোঁজ চালিয়ে জঙ্গিদের ২০ টি গুপ্ত অনুপ্রবেশ রুটের খোঁজ পেয়েছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের কাশ্মীরে অবস্থিত জঙ্গি লঞ্চপ্যাড থেকে এই সমস্ত জঙ্গিকে ভারতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।