ফের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, হামলায় ভারতে মৃত ৯ গ্রামবাসী
এদিন বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পাক সেনাবাহিনী হামলা চালায়। মানকোটের কৃষ্ণাঘাটি সেক্টর, বালাকোট থেকে শুরু করে, কেরিয়ান্দ এমনকী ভিমবার গলি পাক-আক্রমণের নিশানায় এসেছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সোমবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ও মর্টার শেল দিয়ে আক্রমণ শুরু করে পাকিস্তান। তার পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনীও।
এর আগে রবিবার রাতেও হামলা চালায় পাকিস্তানী সৈন্যবাহিনী। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই গুলির লড়াইয়ে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়। মর্টার শেল এসে পড়ে আরনিয়া শহরের মূল বাজারেও। এমনকী বাসস্ট্যান্ডেও পড়ে মর্টার শেল। যার ফলে ক্ষতির পরিমাণ এত বেশি হয়েছে। আরনিয়া শহর ছাড়া সবচেয়ে বেশি মর্টার শেল পড়েছে ত্রেওয়া, সুহাগপুর ও দেবীগড় গ্রামে।
এই প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের জওয়ানরা ও আধা সামরিক বাহিনী সম্পূর্ণ তৈরি। পাকিস্তানের প্রত্যেকটা হামলার জবাব দিয়েছে তারা। ভারতীয় শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে কমপক্ষে ১০ টি ভারতীয় শিবিরকে লক্ষ্য করে পাকিস্তান হামলা শুরু করে। অক্টোবর মাসে এই নিয়ে ১১ তম যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘণ করল পাকিস্তান। এদিকে পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় সেনার আক্রমণে পাকিস্তানের ৪ গ্রামবাসীরও মৃত্যু হয়েছে।
ঐতিহ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর ঈদে ওয়াঘা সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানী সৈন্যরা মিষ্টান্ন দেওয়া নেওয়া করে শুভেচ্ছার আদানপ্রদান করে। কিন্তু ঐতিহ্য ভেঙে এই প্রথমবার ওয়াঘা সীমান্তে মিষ্টির আদানপ্রদান হল না।