কাশ্মীরে বিধানসভা বাড়ানোর সুপারিশ ডিলিমিটেশন কমিশনের, না পসন্দ উপত্যকার দলগুলির
কাশ্মীরের জন্য় ডিলিমিটেশন কমিশন তৈরি করেছে কেন্দ্র। আর সেই কমিশনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সরব হলেন কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতারা। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা সহ বেশ কয়েকজন নেতা কমিশনের সুপারিশকে গ্রহণে
কাশ্মীরের জন্য় ডিলিমিটেশন কমিশন তৈরি করেছে কেন্দ্র। আর সেই কমিশনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সরব হলেন কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতারা। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা সহ বেশ কয়েকজন নেতা কমিশনের সুপারিশকে গ্রহণের অযোগ্য বলে উল্লেখ করেছে।
তাঁদের দাবি, এই সুপারিশ বিজেপির রাজনৈতিক চাল ছাড়া আর কিছু নেই। কাশ্মীরের জন্য পাঁচ সদস্যের ডিলিমিটেশন কমিশন তৈরি করে দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, নতুন করে জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য বিধানসভা আসন সাজানো হচ্ছে।
যেখানে সুপারিশ করা হয়েছে, কাশ্মীরের জন্য একটি আসন দেওয়া হবে ও জম্মুতে দেওয়া হবে ৬টি আসন। আর এই সুপারিশেই ক্ষুব্ধ নেতারা। এই সুপারিশে অসন্তোষ প্রকাশ করে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা একগুচ্ছ টুইট করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তথ্যের ওপর জোর না দিয়ে বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এরকম একটি সুপারিশ করেছে।
তাঁর দাবি, শুধুমাত্র তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই আসন পুনর্বিন্যাস করা উচিৎ ছিল। তাঁর কথায়, এই পুনর্বিন্যাস বিজ্ঞানসম্মত নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়েছে। তিনি লিখেছেন, কাশ্মীরের জন্য একটি আসন ও জম্মুতে ৬টি বিধানসভা আসন থাকবে। এই সুপারিশ ২০১১-র সেন্সাসের তথ্য অনুসারে করা হয়নি।
পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজ্জাদ গনি লোনও দাবি করে, এই সুপারিশ মানা সম্ভব নয়। এতে পক্ষপাতিত্বের ছাপ রয়েছে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তাদের জন্য এই সুপারিশ কাম্য নয়। পিডিপির মুখপাত্র সুহেল বুখারি বলেন, বিজেপি অ্যাজেন্ডার ওপর ভিত্তি করেই এই সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেছেন, পিডিপির প্রেসিডেন্ট তথা কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি প্রথম থেকেই বলে এসেছেন যে ওই কমিশন বিজেপির রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের হাতিয়ার ছাড়া অন্য কিছুই নয়।
কী বলা হয়েছে সুপারিশে..
ডিলিমিটেশন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, জম্মুতে বিধানসভা আসনের সংখ্যা বেড়ে হবে মোট ৪৩ ও কাশ্মীরে আসন সংখ্যা বেড়ে হবে ৪৭। ৯ টি আসন সংরক্ষিত থাকবে তফশিলি উপজাতির জন্য, তফশিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত সদস্যদের জন্য বেশ কয়েকটি আসন সংরক্ষিত থাকবে।
কমিশনেপ সদস্যদের মধ্যে ২ জন বিজেপি সাংসদ রয়েছেন। তাঁরা হলেন যগল কিশোর ও ড. জিতেন্দ্র সিং। রয়েছেন ন্যশনাল কনফারেন্সের ফারুক আব্দুল্লা, হাসনাইন মাসুদি ও মহম্মদ আকবর লোন। আজ তাঁরা একটি বৈঠকে বসেন। এই প্যানেলের সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জনা দেশাই, নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রা ও কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিক।