কাশ্মীর নিয়ে ফের মধ্যস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের, জবাব দিল ভারত
কাশ্মীর নিয়ে ফের মধ্যস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের, জবাব দিল ভারত
কাশ্মীর নিয়ে নিজেদের অবস্থান ফের একবার স্পষ্ট করে দিল ভারত। প্রসঙ্গ কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এদিন ভারতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক ইস্যু। যার সমাধান দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই হতে পারে।
মঙ্গলবার সাহায্যের অফার
দাভোসে চলছে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের সম্মেলন। সেই সম্মেলনের ফাঁকেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কাশ্মীর সমস্থার সমাধানে সাহায্যের প্রস্তাব করেছিলেন ভারতের কাছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের আগে তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন। গত একবছরের মধ্যে ট্রাম্প এবং ইমরান খানের মধ্যে এটি তৃতীয় বৈঠক। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দুদেশের আলোচনায় আফগানিস্তান নিয়ে শান্তি প্রক্রিয়া, আমেরিক-ইরান সম্পর্ক এবং জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হয়।
ট্রাম্পের সঙ্গে ইমরানের আলোচনায় কাশ্মীর
ট্রাম্পের সঙ্গে ইমরানের কাশ্মীর নিয়ে আলোচনায় ৫ অগাস্ট ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে ফের একবার জানান ইমরান। বলেন, সেই সময় থেকে কাশ্মীরে উত্তেজনা রয়েছে। এব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে হস্তক্ষেপের আবেদন জানান ইমরান।
ইরানের সঙ্গে গণ্ডগোলে গুরুত্ব বেড়েছে পাকিস্তানের
সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের সঙ্গে আমেরিকার গণ্ডগোলের জেরে গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের। এব্যাপারে পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার রাওয়ালপিণ্ডির সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করার ব্যাপারে কথা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
ভারতের জবাব
বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক ইস্যু, তাই দ্বিপাক্ষিকভাবেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এর সঙ্গে ভারত আরও জানিয়েছে সন্ত্রাসবাদ এবং আলোচনা দুটো কখনও একসঙ্গে চলতে পারে না। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, কোনও আলোচনা শুরুর আগে পাকিস্তানকে আগে সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।
এ আগেও অফার দিয়েছিলেন ট্রাম্প
এ আগেও কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রথমবার দিয়েছলেন ২০১৯-এর জুলাই-এ। সেই সময় ইমরান গিয়েছিলেন ওয়াশিংটনে বৈঠক করতে। অগাস্টের ১ তারিখেও তিনি একই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর ২১ অগাস্ট, ৯ সেপ্টেম্বর, ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে ভারত সফরের একমাস আগে এই প্রস্তাবকে ভারত মোটেই ভাল চোখে দেখছে না। ট্রাম্পের প্রস্তাবে থাকা শব্দগুলির মধ্যে রয়েছে, 'মিডিয়েশন', 'আর্বিট্রেশন', 'ইন্টারভেনশন'।