ঠাণ্ডায় জবুথবু কাশ্মীর, দ্রাসে রের্কড ঠাণ্ডা মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কনকনে ঠাণ্ডায় এখনও কাঁপছে কাশ্মীর। শুক্রবারও উপত্যকার বহু অঞ্চলে তাপমাত্রা ছিল অনেকটাই নীচে। কাশ্মীরকে ঠাণ্ডার মোড়কে জড়িয়ে রেখেছে শীত। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, হালকা বৃষ্টি বা তুষারপাত হতে পারে আগামী কিছুদিন। যার ফলে ঠাণ্ডা আরও বাড়বে।
শ্রীনগর, পহেলগাওতে রেকর্ড ঠাণ্ডা
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে যে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার কারণে উপত্যকার বেশিরভাগ জায়গায় রাতের তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মাত্র একদিনেই শ্রীনগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে প্রায় ছয় ডিগ্রি নেমে মাইনাস ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কাশ্মীরের প্রবেশদ্বার শহর কাজীগুণ্ডের পারদ মাইনাস ৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় স্থিত হয়ে রয়েছে।
আরও কমছে রাতের তাপমাত্রা
বৃহস্পতিবার রাতের মাইনাস ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে প্রায় আট ডিগ্রি কমেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাম পর্যটন রিসর্টে শুক্রবার রাতে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে, যা একদিন আগের সকালেও ছিল মাইনাস ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাশ্মীরের সবচেয়ে শীতলতম জায়গা হল পহেলগাম, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
কাশ্মীরের অন্য এলাকাতেও ঠাণ্ডার প্রকোপ
উত্তর কাশ্মীরের স্কাই-রিসর্ট গুলমার্গেও তাপমাত্রা শুক্রবার ছিল মাইনাস ১১ ডিগ্রি, যা ফের আগের রাতের তুলনায় কম। বৃহস্পতিবার রাতে গুলমার্গে তাপমাত্রা ছিল ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণের কোকেরনাগেও চার ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে তা মাইনাস ৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থিত হয়েছে। উত্তরের কুপওয়াড়াতেও রেকর্ড ঠাণ্ডা পড়েছে এ বছর। শুক্রবার এখানে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লে–লাদাখেও তাপমাত্রা সর্বনিম্ন
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের লে-তে তাপমাত্রা রয়েছে মাইনাস ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে, যেখানে দ্রাসে তাপমাত্রা রয়েছে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। শনিবার থেকে উপত্যকায় হালকা বৃষ্টি বা তুষারপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।