কাশ্মীরে ফারুক আবদুল্লাহর সঙ্গে গোপন সাক্ষাৎ প্রাক্তন RAW অফিসারের! 'সিক্রেট মিশন' ফাঁস
ভারতীয় 'স্পাই এজেন্সি'র অন্যতম নাম এএস দুলাত। আর এমন দোর্দণ্ডপ্রতাপ RAW অফিসার এবার উড়ে গেলেন কাশ্মীর উপত্যকায়। তাঁর উদ্দেশ্য কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারপক আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা । কিন্তু কেন এই বিশেষ সাক্ষাৎকার। প্রাক্তন গোয়েন্দা অফিসারের উদ্দেশ্য নিয়ে কোন তথ্য উঠছে দেখে নেওয়া যাক।
'সিক্রেট মিশন' এ প্রাক্তন RAW অফিসার!
একের পর এক মাস কেটে যাচ্ছে আর পাল্টাচ্ছে কাশ্মীরের আবহাওয়া। প্রবল তুষারাবৃত শীত কাটিয়ে এবার সেখানে বসন্ত। আর গত ৫ অগাস্ট সেখানে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার ঘোষণার পর থেকে একাধিক কাশ্মীরি নেতা বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। বন্দি রয়েছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহও। আর সেই বর্ষীয়ান কাশ্মীরী নেতা ফারুক আবদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে 'সিক্রেট মিশন' এ উপত্যকায় গিয়েছেন দুলাত।
গত কয়েক মাস ধরে ফারুকের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা!
জানা
গিয়েছে
প্রাক্তন
এই
গোয়েন্দা
প্রধান
বেশ
কয়েক
মাস
ধরে
ফারুক
আবদুল্লাহর
সঙ্গে
দেখা
করার
চেষ্টা
করছিলেন।
শেষমেশ
রাজি
হয়েছেন
আবদুল্লাহ।
যদিও
বিষয়টি
নিয়ে
মুখ
খুলছেন
না
এএস
দুলাত।
যদিও
আবদুল্লাহ
পরিবারের
তরফে
বিষয়টি
ফাঁস
হয়েছে।
কোন 'সিক্রেট মিশন' এ প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্তা?
প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্তা এ এস দুলাত মূলত ফারুক আবদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন কাশ্মীরী নেতার মেজাজ জানতে। ৩৭০ ধারা কাশ্মীর থেকে তুলে দেওয়া নিয়ে ফারুক আবদুল্লাহ এখন কী ভাবছেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতেই উপত্যকা উড়ে গিয়েছেন প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্তা। তাছাড়াও ৮২ বছরের কাশ্মীরি নেতা কতটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন উপত্যকার নতুন নিয়ম নিয়ে , তাও জেনবার চেষ্টা করবেন এই RAW অফিসার।
নয়া দিল্লি কাশ্মীর নিয়ে আপাতত কোন লক্ষ্য়ে স্থির?
জানা গিয়েছে, কাশ্মীরে যাতে সত্ত্বর রাজনৈতিক গতিবিধি শুরু হয়, তার চেষ্টায় রয়েছে দিল্লি। কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পর যাতে উপত্যকায় রাজনৈতিক আঙিনা যাতে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়, তার চেষ্টায় রয়েছে দিল্লি।
সরকারি আমলা সূত্রে কোন খবর
কাশ্মীরি নেতাদের বন্দি করে রাখার ফলে দিল্লির উদ্দেশ্য সফল হবে না। এমনই মত দিল্লির আমলাদের। পিএসএ-র আওতায় বহুদিন ধরে কাশ্মীরি নেতাদের বন্দি করা কোনও লক্ষ্যপূরণ করতে পারবে না বলেও মনে করা হচ্ছে। বহু বিদেশী প্রতিনিধিও এই নেতাদের মুক্তি দেওয়ার সপক্ষে সওয়াল করার পরই দিল্লি এমন উদ্যোগ শুরু করেছে বলে খবর।