বিজেপি শাসিত কন্নড়ভূমে কংগ্রেসের বড় জয়, পুর নির্বাচনে ধরাশায়ী গেরুয়া শিবির
বিজেপি শাসিত কন্নড়ভূমে কংগ্রেসের বড় জয়, পুর নির্বাচনে ধরাশায়ী গেরুয়া শিবির
বিজেপির গড়ে কংগ্রেস ফের থাবা বসাল। ভোট যুদ্ধের প্রেক্ষাপট কর্ণাটক। কন্নড়ভূমে সদ্য সংগঠিক হয়েছে পুর নির্বাচন। এককালে যেখানে কংগ্রেস-জেডিএসের সরকার ক্ষমতা হাতে পেয়েও বিধায়কদের ইস্তফার জেরে ও রিসর্ট রাজনীতির হাত ধরে সরকার থেকে বিচ্যূত হয়ে যায়, সেই কর্ণাটকের পুর নির্বাচনেই এবার সাফল্য পেল কংগ্রেস।
কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল!
প্রসঙ্গত, ২৭ এপ্রিল এই পুর নির্বাচন সম্পন্ন হয়। এরপর ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, কর্ণাটকে ছয়টি পুরসভা জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে কংগ্রেস নিজের শক্তি প্রদর্শন করে। জেডিএস দখলে রাখে ২ টি পপরসভা এবং বিজেপির দখলে যায় ১ টি পুরসভা।
ফলাফল একনজরে
১০ পুরসভার মধ্যে ৭ টি দখল করে কার্যত কংগ্রেস প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট সঙ্গে রেখেছে বলে দাবি বহুজনের। সেদিক থেকে কংগ্রেসের দখলে ১১৯ টি আসন, জেডিএস ৬৭ টি, ও বিজেপি ৫৬ টি আসনে জয়লাভ করে। প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব , হিমাচলের পর কর্ণাটকের স্থানীয় নির্বাচনেও মুখ থুবড়ে পড়ে গেরুয়া শিবির।
'এটা উচ্ছ্বাসের সময় নয়'
এদিকে কংগ্রেসের এই বিপুল জয়ের পর কংগ্রেসের তরফে ডিকে শিবকুমার টুইট করে, কংগ্রেসের উপর আস্থা রাখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। তবে 'এটা উচ্ছ্বাস' এর সময় নয় বলে সাফ জানান দেন ডিকে শিবকুমার। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, আম জনতার অই রায়েই স্পষ্ট যে রাজ্যের শাসকদল বিজেপি ক্ষমতায় থাকার সমস্ত যোগ্যতা হারিয়েছে।
নির্বাচন ও ইস্যু
প্রসঙ্গত, স্থানীয় নির্বাচন হলেও, করোনার দ্বিতীয় স্রোত থেকে সিএএ ও এনআরসির মতো ইস্যু কর্ণাটক পুরনির্বাচনে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। এদিকে, যেভাবে কংগ্রেস সরকার গদিচ্যূত হয়ে ছিল এবং বিজেপি কর্ণাটকে সরকার গড়েছে বিরোধী শিবিরের বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে, সেই পর্বের প্রভাব ভোটারদের মনে পড়তে পারে বলে মত অনেকের। আর সেই পর্বকে জনতা ভালোভাবে নেয়নি বলে দাবি কংগ্রেসের। যার জেরে মূলত, বিজেপি বিরোধী এই ভোট ট্রেন্ড কর্ণাটকে দেখা যাচ্ছে বলে দাবি অনেকের।