ক্রমেই বাড়ছে আতঙ্ক, কর্নাটকে কোভিডে সুস্থ হয়ে ওঠা তিনজন রোগীর দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস
কর্নাটকে কোভিডে সুস্থ হয়ে ওঠা তিনজন রোগীর দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস
করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি দেশে আরও এক সংক্রমণ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তা হল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক সংক্রমণ। দিল্লি, গুজরাত ও মহারাষ্ট্রের পর এবার কর্নাটকেও দেখা মিলল এই সংক্রমণের। কর্নাটকের বাগালকোট প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার জানানো হয়েছে যে এখানে কোভিড–১৯ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা তিনজন রোগীর মধ্যে এই কালো ছত্রাক সংক্রমণ দেখা গিয়েছে।
তিনজন রোগী আক্রান্ত
বাগালকোট স্বাস্থ্য অফিসার ডাঃ অনন্ত দেশাই জানিয়েছেন যে তিনজন রোগীর মধ্যে একজনের চিকিৎসা চলছে বাগালকোট সরকারি হাসপাতালে এবং অন্য ২ জনের চিকিৎসা চলছে বেসরকারি হাসপাতালে। দেশাই বলেন, 'তিনজন কোভিড রোগীর মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তিনজনের মধ্যে একজনের চিকিৎসা চলছে বাগালকোটে এবং বাকি ২ জনের চিকিৎসা চলছে তাঁদের নিজেদের খরচে বেসরকারি হাসপাতালে।' প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ওষুধ অ্যামফোটেরিসিন সরবরাহের আর্জি জানানো হয়।
ওষুধের জন্য সরকারের কাছে আর্জি
দেশাই বলেন, 'আমাদের কাছে এই অ্যামফোটেরিসিন ওষুধের মজুত নেই। এটি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে আমরা কর্নাটক সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রককে অবগত করেছি।' প্রসঙ্গত, এর আগে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বেশ কিছু কেস দেশের উত্তরাখণ্ড, তেলঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ ও বিহার সহ অন্যাম্য রাজ্যে দেখা যায়।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছত্রাক কি
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, মিউর্কোমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছত্রাক সংক্রমণের জটিল রোগ। পরিবেশে ছত্রাকের জীবাণুর মাধ্যমে এই সংক্রমণ মানুষের হতে পারে। এছাড়াও ত্বকে কোনও কাটা-ছড়া বা পোড়া বা অন্য কোনও ত্বকের সমস্যার মাধ্যমে এই ছত্রাক সংক্রমণ শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই রোগ প্রধানত কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ বা সুস্থ হওয়ার পথে রয়েছেন এমন রোগীদের মধ্যে দেখা যায়। এছাড়াও ডায়বেটিক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সেভাবে কাজ করছে না এমন রোগীদেরও এই ছত্রাক সংক্রমণ থেকে সাবধানে থাকতে হবে।
কর্নাটক এগিয়ে মহারাষ্ট্রের চেয়ে
গত ২ দিন ধরে করোনা ভাইরাস কেসের ক্ষেত্রে কর্নাটক অতিক্রম করেছে মহারাষ্ট্রকে, এই রাজ্যে সক্রিয় করোনা কেসের সংখ্যা ৬,০০,১৬৮ বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে করোনায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫,৮১,৪৫৭ ও মৃত্যু হয়েছে ২১,৮৩৭ জনের।