কর্ণাটকে ফের ভাঙবে সরকার! আজ পদত্যাগের কানাঘুষো ১১ কংগ্রেস নেতার
কর্ণাটকে ঘনীভূত রাজনৈতিক অস্থিরতা এখন অনেকটা বিকশিত।
কর্ণাটকে ঘনীভূত রাজনৈতিক অস্থিরতা এখন অনেকটা বিকশিত। মঙ্গলবার কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে ধাক্কা দিয়ে দুই নির্দল বিধায়ক জোট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। এদিন যা পরিস্থিতি তাতে শোনা যাচ্ছে আরও বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেন। এমনটা হলে লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার কর্ণাটকে পালাবদল অসম্ভব নয়।
বেরিয়ে আসবেন কং বিধায়করা!
দুজন নির্দল বিধায়ক বেরিয়ে যাওয়ার পরও জেডিএস-কংগ্রেস জোটের হাতে ১১৭ জন বিধায়ক রয়েছেন। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের ১২-১৩ জনকে দল ভাঙানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাহলে জোট সরকারের বিধায়ক সংখ্যা ১০৬-এ নেমে আসবে।
পালাবদলের সম্ভাবনা!
বিজেপি যতই জোট ভাঙার খেলা খেলছে না বলে অস্বীকার করুক, ঘটনা হল, লোকসভা ভোটের আগেই কর্ণাটকে পালাবদল হয়ে যেতে পারে। এমনটা যে হতে পারে তা বুঝতে পারছে কংগ্রেসও। তাই বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের কড়া নজরে রাখা হয়েছে।
পাল্টা চেষ্টা কংগ্রেসের
অন্যদিকে পাল্টা কংগ্রেসও বিজেপির চার বিধায়ককে মন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছে। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী পর্যন্ত বলেছেন, তাঁর সঙ্গে বিজেপি বিধায়করা যোগাযোগ রাখছেন। ২২৪ আসনের বিধানসভায় এই মুহূর্তে বিজেপির ১০৪ জন বিধায়ক রয়েছেন। সেখানে কংগ্রেসও ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে।
স্বস্তিতে কুমারস্বামী!
কংগ্রেস বিধায়করা রয়েছেন মুম্বইয়ের হোটেলে। এদিকে বিজেপি বিধায়করা রয়েছেন গুরগাঁওয়ের হোটেলে। মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর দাবি তাঁর সঙ্গে বিধায়কদের যোগাযোগ রয়েছে। কোনও সমস্যা নেই। তাঁর সরকার মসৃণভাবে চলছে। যদিও তাঁর দাবি কতটা সত্যি তা কয়েকদিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।