কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়কের নামে এফআইআর, শিল্পপতির সুইসাইড নোট হাতিয়ার করে তদন্ত শুরু
মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর শিল্পপতি প্রদীপ। এইচএসআর লেআউটের বাসিন্দা ছিলেন ওই শিল্পপতি। সুইসাইড নোটে তিনি নাম লিখে যান বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অরবিন্দ লিম্বাভালি-সহ ৬ জনের। তার ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল কর্নাটক পুলিশ।
লিম্বাভালির সঙ্গে যাঁদের নাম প্রদীপের সুইসাইড নোটে রয়েছে তাঁরা হলেন জি রমেশ রেড্ডি, কে গোপী, ড. জয়রাম রেড্ডি, রাঘব ভাট ও সোমাইয়া। ৪৭ বছরের প্রদীপ নিজের গাড়িতেই আত্মঘাতী হয়েছিলেন। রবিবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি নতুন বছর সেলিব্রেট করতে বেঙ্গালুরুর কাছে রামনগরের একটি রিসর্টে গিয়েছিলেন। যাঁদের নাম সুইসাইড নোটে প্রদীপ লিখে গিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের কাছে আর্জিও জানান ওই শিল্পপতি। এই ব্যক্তিদেরই তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে উল্লেখও করেন।
সুইসাইড নোটে আত্মঘাতী প্রদীপ লিখে গিয়েছেন যে, অভিযুক্তরা তাঁর কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা নিয়েছিল রিসর্ট খোলার জন্য। সেই ব্যবসায় তাঁকে পার্টনার করারও প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তাঁরাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আড়াই কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল। বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভালি নিজেদের মধ্যে মিটমাটের ব্যবস্থা করে ৯ লাখ টাকা ফেরতের বন্দোবস্ত করেন। পরে আর কোনও সহযোগিতাই করেননি।
এই সুইসাইড নোটের ভিত্তিতেই কাগ্গালিপুরা পুলিশ লিম্বাভালি-সহ বাকি অভিযুক্তদের নামে এফআইআর দায়ের করেছে। তদন্ত শুরু করে ফোনের কল ডিটেলস হাতে পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, আইন মেনেই তদন্ত চলছে। আইন আইনের পথেই চলবে। অভিযুক্ত বিজেপি নেতা প্রদীপের স্ত্রীকে পিস্তল দেখিয়ে খুনের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। এই বিষয়টিকেও তদন্তের আওতায় রাখছে পুলিশ।