রাহুল গান্ধীর সভায় অনুপস্থিত থাকার খেসারত, ক্যাবিনেট থেকে সরতে হতে পারে কর্ণাটকের ১৫ মন্ত্রীকে
নয়াদিল্ল, ১৩ অক্টোবর : মহা বিপদ কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের ১৫ মন্ত্রীর উপর। উদ্যানপালন মন্ত্রী শ্যামনুর শিবশঙ্করাপ্পা, আবাসনমন্ত্রী এমএইচ অম্বরিশ, বাবুরাও চিনচাঁসুরা-এর মতো প্রবীন নেতা সহ মোট ১৫ জন মন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব নিয়ে টানাটানি পরে গিয়েছে। আর তার এক ও একমাত্র কারণ হল, বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধীর অনুষ্ঠানে এই মন্ত্রীদের অনুপস্থিত থাকা।
দলের হাই কমান্ড মনে করছে বেঙ্গালুরুতে রাহুল গান্ধীর সভায় অনুপস্থিত থাকার খেসারত দিতে হবে এই ১৫ মন্ত্রীকে। ইতিমধ্যেই এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাই কমান্ড।
রাহুল গান্ধীর সভায় সিদ্ধারামাইয়া সরকারের সব মন্ত্রীকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ আগেই জারি করেছিল কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। যদিও প্রবীন কয়েক মন্ত্রী-সহ ক্যাবিনেটের ১৫ জন মন্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন সভায়।
দলীয় সূত্রের খবর, এআইসিসি জেনারেল সেক্রেটারি (কর্ণাটকের দায়িত্বে থাকা) দিগ্বিজয় সিং এই ১৫ মন্ত্রীর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করেন। এবং প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিকে এই বিষয়ে জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে শো-কজ নোটিশ জারি করার অনুরোধ জানান। যুক্তি অনুপস্থিতির অর্থ হল কংগ্রেসের সহ-সভাপতিকে অসম্মান করা।
প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, "রাহুল গান্ধীর কর্ণাটক সফরকালের প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রীদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনুপস্থিত মন্ত্রীরা সেই সাধারণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন। আর সে কারণেই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে।"
কংগ্রেসের এক প্রবীন নেতা জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধীর অনুষ্ঠানে যে যে মন্ত্রীরা অনুপস্থিত ছিলেন তাদের সঙ্গে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার সম্পর্ক খুব একটা ভাল নয়। বিশেষ করে শিবশঙ্করাপ্পা, অম্বরিশ মুখ্যমন্ত্রীর কাজে যথেষ্ট অখুশী। মনে করা হচ্ছে এই দুই মন্ত্রীকে নিজেদের মন্ত্রী পদ খোয়াতে হতে পারে।
পাশাপাশি কংগ্রেস নেতাদের একাংশের মতে, আসলে এঁরা ভেবেছিলেন রাহুলের সঙ্গে দেখা করা বা তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো বা না জানানোর ফলেও পরিস্থিতির কোনও তফাৎ হবে না। তাই ভেবেই রাহুল গান্ধীকে এড়িয়ে গিয়েছিলেন তারা।
অন্য আর এক দল মনে করছে, সিদ্ধরামাইয়া সরকারের সঙ্গে অঙ্ক মিলছে না এই নেতাদের। তাই রাহল গান্ধীর সভায় অনুপস্থিত থাকতে চেয়েছিলেন এই নেতারা।