ভূতকে চ্যালেঞ্জ করে ভূতের সংসারেই হানা কর্নাটকের মন্ত্রীর!
সতীশ জরকিহোলিকে সংস্কারমুক্ত উদারমনস্ক মানুষ বলে চেনে গোটা কর্নাটক। কুসংস্কার রোধে কখনও সরকারকে বিধি তৈরিতে চাপ দেন, কখনও আবার নিজেই ময়দানে নেমে পড়েন।
শনিবার ছিল বি আর আম্বেদকরের প্রয়াণবার্ষিকী। এই দিনটিকে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শুভক্ষণ হিসাবে বেছে নেন তিনি। সন্ধে নামতেই কয়েকজন অনুগামীকে নিয়ে ঢুকে পড়েন শ্মশানে। বেলগাঁও (বর্তমানে বেলগবি) শহরের সদাশিবনগরের ওই শ্মশানটির নাম হল বৈকুণ্ঠধাম। এখানে একসঙ্গে ২৪টি চিতা জ্বালানোর ব্যবস্থা রয়েছে। সতীশ জরকিহোলি শুধু যে সেখানে সারা রাত কাটান তাই নয়, একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, "শ্মশানে রাত কাটিয়ে আমি দু'টো জিনিস প্রমাণ করতে চাইলাম। প্রথমত, কবরখানা বা শ্মশান ভূতেদের আস্তানা, এই ধারণা ভাঙতে চেয়েছি। দ্বিতীয়ত, এ ধরনের জায়গার সঙ্গে যে একটা স্বাভাবিক ভয় জড়িত থাকে, তা ভাঙাও আমার উদ্দেশ্য ছিল।"
তিনি আরও বলেছেন, "বিল গেটস পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী লোক। কিন্তু উনি লক্ষ্মী পুজো করেন না। আমিও জীবনে কখনও লক্ষ্মী ঠাকুরের পুজো করিনি। তবুও আমার বার্ষিক ব্যবসার পরিমাণ ৬০০ কোটি টাকা। অথচ লক্ষ্মী পুজো করেও দারিদ্র্যে দিন কাটাচ্ছে, এমন অনেক লোক আছে।"