হিসাব বহির্ভুত সম্পত্তি মামলায় কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ে বেকসুর খালাস আম্মা
বেঙ্গালুরু, ১১ মে : হিসাব বহির্ভুত সম্পত্তি মামলায় বড় জয় আম্মা সমর্থকদের। প্রার্থনা কাজে দিয়েছে। আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাকে বেকসুর খালাস করল কর্ণাটক হাইকোর্ট। দোষী সাব্যস্ত করে আম্মাকে যে ৪ বছরের সাজা শুনিয়েছিল বেঙ্গালুরুর আদালত তা খারিজ করল হাই কোর্ট। সাজা মুকুব করা হল। সাজা মুকুব জয়ললিতার সঙ্গে অভিযুক্ত চার জনেরও। তামিলনাড়ু থেকে শুরু করে, চেন্নাই, কর্ণাটকে আম্মার সাজা মুকুবের সুখবরে উৎসবের হাওয়া। এআইএডিএমকে-র অফিসের বাইরে শুরু হয়ে গিয়েছে আনন্দ উৎসব।
সাজা মুক্ত হয়ে যাওয়ায় খুব শীঘ্রই ফের তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন জয়ললিতা। হিসাব বহির্ভূত সম্মতি মামলা থেকে রেহাই পাওয়ায় আগামী বিধানসঙা নির্বাচনেও লড়তে পারবেন আম্মা। ফলে এআইএডিএমকে শিবির নিশ্চিতভাবেই নতুন অক্সিজেন পেল।
জয়ললিতা দুর্নীতি মামলায় আজ সাজা মুকুবের আবেদনের রায় দেবে কর্ণাটক হাইকোর্ট
বেঙ্গালুরু/চেন্নাই, ১১ মে : তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার আজ চরম ভাগ্য পরীক্ষা। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় সাজা মুকুবের যে আবাদন কর্ণাটক হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন আম্মা, সেই আবেদনেরই রায় ঘোষণা হবে আজ। আর এই রায়ের উপরই নির্ভর করে রয়েছে আম্মার রাজনীতির ভবিষ্যৎ। [জয়ললিতার চার বছরের জেল, ১০০ কোটি টাকা জরিমানা, ছাড়তে হবে পদও]
আর এই রায় ঘিরেই ইতিমধ্যে আম্মার সমর্থনে তামিলনাড়ুর শাসক দল এআইএডিএমকে কর্মীরা, যজ্ঞ, পুজা শুরু করে দিয়েছেন। এদিকে রায়কে কেন্দ্র করে গোটা কর্ণাটক হাইকোর্টকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। বেঙ্গালুরু পুলিশের তরফে সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত হাইকোর্ট চত্ত্বরের ১ কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশ বন্ধের নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
আর এক বছরের মধ্যেই তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন। আজকের রায়ের উপর নির্ভর করে নয়া মোড় নিতে পারে তামিলনাড়ুর রাজনীতি।
আইনজীবীদের কথায়, আজ বিচারপতি সি আর কুমারস্বামীর সিঙ্গল বেঞ্চ যখন রায় শোনাবে তখন জয়ললিতার আদালতে উপস্থিত থাকা জরুরি নয়।
উল্লেখ্য দুর্নীতি মামলায় আম্মাকে দোষী সাব্যস্ত করে চার বছরের কারাবাস ১০০ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় বেঙ্গালুরুর একটি আদালত। আইন অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে ১০ বছর সময় পর্যন্ত কোনও নির্বাচনে তিনি লড়তে পারবেন না। তবে উচ্চ আদালত যদি আম্মার সাজা মুকুব করে সেক্ষেত্রে তা হবে জয়লতিতার রাজনৈতিক জীবনের সেরা 'কামব্যাক'।
হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলা
১৯৯১ সালে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হন জয়ললিতা। কিন্তু ১৯৯৬ সালে ভোটে হেরে যান। ক্ষমতায় আসে ডিএমকে। মুখ্যমন্ত্রী হন এম করুণানিধি। ওই বছর জনতা পার্টির সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (এখন ইনি বিজেপিতে) জয়ললিতার দুর্নীতি নিয়ে সরব হন। তিনি মামলা করেন। সেই ভিত্তিতে জয়ললিতার বাড়িতে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। অভিযোগ ওঠে, ৬৬ কোটি টাকার সম্পত্তির কোনও হিসাব তিনি দিতে পারেননি। তল্লাশির সময় নগদ টাকা ছাড়াও ২৮ কিলো সোনা, ৮৮০ কিলো রুপো, দশ হাজার শাড়ি, ৭৫০ জোড়া জুতো, ৯১টি বিদেশি ঘড়ি এবং প্রচুর প্রসাধনী দ্রব্য আটক করা হয়েছিল। জয়ললিতার পাশাপাশি তাঁর বান্ধবী শশীকলারও নাম জড়ায় এই মামলায়।