রাজ্যপালের দ্বিতীয় চিঠি, 'প্রেমপত্র' আখ্যা দিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী
সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রথম সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ডেডলাইনও নির্ধারন করে দেন কর্ণাটকের রাজ্যপাল বাজুভাই ভালা।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রথম সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ডেডলাইনও নির্ধারন করে দেন কর্ণাটকের রাজ্যপাল বাজুভাই ভালা। কিন্তু সেই নির্দেশ মানতে অস্বীকার করে উল্টে আস্থা ভোট করানো নিয়ে রাজ্যপালের পাঠানো চিঠিকে 'প্রেমপত্র' বলে কটাক্ষ করলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী।
কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থা ভোট করানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বলেন, এ ব্য়াপারে রাজ্যপালের নির্দেশ মানতে তাঁরা বাধ্য নন। বিধানসভার স্পিকারই শেষ কথা। সঙ্গে এও বলেন যে ১৪ মাস পর চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছনো গেছে। তাই এখন আলোচনা করতে দেওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যকে পাল্টা কটাক্ষ করে বিজেপি।
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকারের ১৫ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন বলে শোনা গেছে। রাজ্যের দুই নির্দল বিধায়কও মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন বলেও জানা যায়। এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়া জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকারকে আস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা প্রমাণ করা উচিত বলে চিঠি লিখে জানান কর্ণাটকের রাজ্যপাল বাজুভাই ভালা।
ঠিক ছিল, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থা ভোট হবে। কিন্তু রাজ্যপালের সে সংক্রান্ত নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। দিনের শেষে আস্থা ভোট করানোর জন্য আরও একটি চিঠি দেন রাজ্যাপল বাজুভাই ভালা। কিন্তু সেই চিঠিকে 'প্রেমপত্র' বলে কটাক্ষ করলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী।