অসিযুদ্ধে মেতে মোদী ও রাহুল, জেনে নিন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার ঘিরে কী চলছে কর্ণাটকে
ভোটের মাত্র কয়েকটা দিন আগে মুচমুচে রাজনৈতিক তরজায় সরগরম কর্ণাটক।
বাকি
আর
মাত্র
কয়েকটা
দিন,
আগামী
১২
তারিখই
কর্ণাটকের
বিধানসভা
নির্বাচন।
তার
আগে
প্রচারের
প্রায়
শেষ
লগ্নে
এসেও
থামছে
না
প্রধানমন্ত্রী
মোদী
এবং
কংগ্রেস
সভাপতি
রাহুল
গান্ধীর
অসিযুদ্ধ।
দুর্নীতি
সহ
বেশ
কিছু
ইস্যুতে
একে
অন্যকে
বিধে
যাচ্ছেন
দুপক্ষের
নেতারা।
একদিকে
মোদী
বলেছেন,
কর্নাটক
সরকারের
দুর্নীতিতে
'স্বর্ণপদক'
পাওয়া
উচিত।
বলেছেন
কংগ্রেস
নেতারা
'ক্ষমতায়
নেশায়
মাতাল'
হয়ে
গিয়েছিলেন।
অন্যদিকে
রাহুলের
অভিযোগ
রাফলে
ফাইটার
জেট
চুক্তিতে
বিজেপি
দুর্নীতি
করেছে।
পাশাপাশি
টেনে
এনেছেন
নিরব
মোদীর
প্রসঙ্গ।
তাঁর
অভিযোগ
ওই
প্রতারককে
রক্ষা
করছে
বিজেপি
তথা
নরেন্দ্র
মোদী।
চলছে
ব্যঙ্গ
বিদ্রুপ।
কেউ
কাউকে
এক
ছটাক
জমি
ছাড়তে
রাজি
নয়।
এক
ঝলকে
দেখে
নেওয়া
যাক
কেমন
জমেছে
এই
প্রচারযুদ্ধ
[আরও পড়ুন: দিদি রোজ ১০ কিলোমিটার হাঁটছেন তো! খবর নিলেন মোদী, উসকে দিল অনেক প্রশ্ন]
সরকার এবং বিজেপি-এর নীতি 'মহিলা প্রথম'
এবারের ভোটে মহিলা ভোটারদের দিকে বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে বিজেপি। প্রচারে তুলে আনা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের মহিলা কেন্দ্রীক বিভিন্ন প্রকল্প ও তার সাফল্যের কথা। আজ (৪ মে)-ও 'নরেন্দ্র মোদী অ্যাপ'-এর মাধ্যমে এক ভিডিও কনফারেন্সে কর্ণাটকের মহিলা মোর্চার সদস্যদের তিনি মহিলা ভোটারদের বেশি করে ভোটকেন্দ্রে আনার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানান, 'আজ দেশ মহিলাদের উন্নয়ন থেকে মহিলেদের নেতৃত্বে উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে'। তিনি আরও বলেন দেশের উন্নয়নের জন্য তাঁর দল এক বিশেষ মন্ত্রে বিশ্বাস করে, তা হল, 'মহিলা শক্তি'।
বেঙ্গালুরুকে 'গার্বেজ সিটি' বলে অপমান করেছেন মোদী
বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর উপকণ্ঠে কেঙ্গেরিতে এক সমাবেশে মোদী সিদ্দারামাইয়া সরকারকে তুলোধনা করে বলেছিলেন, বেঙ্গালুরু একসময় 'গার্ডেন সিটি' বলে পরিচিত ছিল, কিন্তু কংগ্রেসের সরকারের আমলে তা 'গার্বেজ সিটি' বা আবর্জনার শহরে পরিণত হয়েছে। এদিনই ট্যুইটে রাহুল গান্ধী মোদীর ঐ মন্তব্যের সমালোচনা করে লেখেন, 'বাগানের শহর এবং ভারতের গর্ব বেঙ্গালুরুকে আবর্জনার শহর বলাটা অপমানজনক'। এরসঙ্গে একটি ইনফোগ্রাফিক্স দিয়ে রাহুল দেখিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের শহরের পরিকাঠামো গড়ার ক্ষেত্রে কত খরচা করেছে। পাশাপাশি তুলনা করেছেন পরিকাঠামোর উন্নয়নে দেওয়া কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের প্রদত্ত তহবিলের। তারপরই প্রধআনমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, 'মিথ্যা নির্মাণটা আপনার স্বাভাবিকভাবেই আসে, কিন্তু শহর নির্মাণটা বোধহয় আপনার কাছে ততটা সহজ নয়। তথ্যগুলিই আপনার মিথ্যা দেখিয়ে দিচ্ছে।'
বল্লরি কেন্দ্রে বিজেপির জনার্দন রেড্ডির প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সুপ্রিম কোর্টের
বল্লরি কেন্দ্রে নিজের ভাইয়ের সমর্থনে প্রচারে যেতে চেয়েছিলেন বিজেপি নেতা জি জনার্দন রেড্ডি। এই মর্মে আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু কোর্ট শুক্রবার তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে আবেদনটির কোনও 'মেরিট' নেই।
রাহুল গান্ধীর অষ্টম কর্ণাটক সফর
বৃহস্পতিবার এই বছরের অষ্টম কর্ণাটক সফরে এসেছেন রাহুল গান্ধী। বিজেপিকে ঠেকাতে সারা রাজ্য চষে ফেলছেন। বৃহস্পতিবার গান্ধী ছিলেন বিদার জেলায়। সেখানকার তিনি আউরাদ, ভালকি ও হুমানাবাদে তিনি ছোট ছোট সভা করেন। শুক্রবার রাজধানীতে ফিরে গেলেও গান্ধী আবার ৭ মে থেকে ১০ মে থাকবেন দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে।
প্রচারের মাঝে ফিরে গেলেন যোগী
ঝড়ে অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। তাই প্রচার শেষ না করেই রাতে ফিরে আসার জন্য আগরতলা সফর করছেন। প্রধানমন্ত্রীর আজ রাতের বিমানে আগ্রা উড়ে যাবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গতকালই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ঝড়ে রাজ্যের ক্ষতি হওয়ার পরও কর্ণাটকে থেকে যাওয়ার জন্য আদিত্যনাথের সমালোচনা করেছিলেন। ব্যাঙ্গ করে উত্তরপ্রদেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, 'দুঃখিত আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীকে কর্নাটকের প্রয়োজন। আমি নিশ্চিত তিনি শীঘ্রই ফিরে যাবেন এবং নিজের কাজ করবেন।'
কংগ্রেস নেতারা 'জেহাদি মানসিকতা'-র
যোগী
আদিত্যনাথ
বৃহস্পতিবার
সিরসির
এক
জনসভায়
কংগ্রেস
'বিভেদের
রাজনীতি'
করে
এবং
তারা
'জিহাদী
মানসিকতা'-র
বলে
অভিযোগ
করেছেন।
তাঁর
মতে
সিদ্দারামাইয়া
সরকার
'সবচেয়ে
দুর্নীতিগ্রস্ত
ইনিংস'
খেলছে
যা
সমাজকে
বিভক্ত
করে
দিচ্ছে।
তিনি
বলেন,'আমি
আপনাদের
আহ্বান
জানাচ্ছি
কংগ্রেসের
বিভেদের
রাজনীতি,
কংগ্রেসের
জেহাদি
মানসিকতা,
সন্ত্রাসবাদ
ও
দুর্নীতিকে
সমর্থন
করে
তাদের
নীতিকে
প্রত্যাখ্যান
করুন।'
অভিযোগ
করেন
গত
পাঁচ
বছরে
রাজ্যের
২৩
জন
বিজেপি
কর্মীকে
হত্যা
করেছে
'জেহাদি'-রা।
এটাই
সিদ্দারামাইয়া
তথা
কংগ্রেসের
বিভেদের
রাজনীতির
'প্রমাণ'।
কে এস থিমায়য়া ও মোদীর ভুল
বৃহস্পতিবার
কালবুর্গীতে
এক
সভায়
জেনারেল
থিমায়াকে
নিয়ে
বলতে
গিয়ে
ভুল
তথ্য
দেন
মোদী।
কংগ্রেস
জাতীয়
নায়কদের,
দেশপ্রেমিকদের,
ইতিহাসকে
মনে
রাখে
না
বলে
অভিযোগ
করেন
প্রধানমন্ত্রী।
মন্তব্যের
সপক্ষে
স্থানীয়
আবেগে
সুড়সুড়ি
দিতে
তিনি
তুলে
আনেন
জেনারেল
কেএস
থিমায়য়াকে
ও
জেনারেল
কে
এম
কারিয়াপ্পার
কথা।
বলেন,
নেহেরু
এবং
ভি
কে
কৃষ্ণ
মেনন
তাঁদের
অপমান
করেছিলেন
বলেই
তারা
পদত্যাগ
করতে
বাধ্য
হয়েছিলেন।
এরপরই
প্রাক্তন
আপ
নেতা
যোগেন্দ্র
যাদব
ট্যুইট
করেন,
'না
স্যার,
কৃষ্ণ
মেনন
১৯৫৭
সালের
এপ্রিল
থেকে
১৯৬২-র
অক্টোবর
পর্য়ন্ত
ভারতের
প্রতিরক্ষা
মন্ত্রী
ছিলেন।
থিমায়য়া
১৯৫৭-র
মে
১৯৬১-র
মে
পর্যন্ত
সেনাপ্রধান
ছিলেন।
পিএএমও
কি
তথ্য
যাচাইয়ের
ব্যবস্থাও
করতে
পারছে
না?এটা
অত্যন্ত
লজ্জার!'
এই
ট্যুইটটি
সিদ্দারামাইয়া
রিট্যুইট
করে
মোদীকে
আক্রমণ
করেছেন।
মোদীর জন্য ছ'টি প্রশ্ন
প্রধানমন্ত্রীর
কর্ণাটকের
জন্য
করেছেন
এরকম
অন্তত
পাঁচটি
কাজের
তালিকা
দাবি
করেছেন
মুখ্যমন্ত্রী
সিদ্দারামাইয়া।
সঙ্গে
জুড়ে
দিয়েছেন
ছয়টি
প্রশ্ন।
১.
কেন্দ্র
কবে
কন্নড়ের
পতাকার
অনুমোদন
দেবে
২.
কবে
কর্ণাটকে
ব্যাংকে
চাকরির
জন্য
কন্নড়
ভাষা
জানা
বাধ্যতামূলক
করে
ব্যাংকে
নিয়োগের
পরীক্ষার
নিয়ম
সংশোধন
করবে,
৩.
কবে
মোদী
কর্ণাটক
ও
গোয়ার
মাঝের
মহাদয়ী
নদীর
বিষয়ে
হস্তক্ষেপ
করবেন,
৪.
কবে
কেন্দ্র
"কর্ণাটকের
প্রতি
সুবিচার
করে"
তার
রাজ্য
বিপর্যয়
মোকাবিলা
তহবিল
(এসডিআরএফ)
পুনর্বিবেচনা
করবে,
৫
কবে
যখন
'বেঙ্গালুরুর
রত্ন'
ভারত
আর্থ
মুভারস
লিমিটেড
(বিইএমএল)
এর
ডাইভেস্টমেন্ট
বন্ধ
করা
হবে
এবং
৬.
কবে
রফেলকে
হিন্দুস্তান
এয়ারোনটিক্স
লিমিটেড
থেকে
সরিয়ে
নিয়ে
বেঙ্গালুরুর
প্রতি
যে
'অবিচার
করা'
হয়েছে
তা
সমশোধন
করা
হবে
এইসব মুচমুচে রাজনৈতিক তরজাতেই আপাতত সরগরম দক্ষিণের এই রাজ্য।
[আরও পড়ুন: গোহারা তৃণমূল! জোট হলে বদলে যাবে রাজ্যের রাজনৈতিক চিত্র, ফের দেখাল শিলিগুড়ি]