কন্নড়ভূমে থাবা বসাতে বিজেপির মন্ত্র 'ওয়েট অ্যান্ড সি'! মরিয়া চেষ্টায় কংগ্রেস শিবির কোন পথে
কন্নড় রাজনীতিতে বিধানসভা দখলের লড়াইয়ে , বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস জেডিএস শিবির থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে নিয়ে আসবার অভিযোগে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে বহুবার এনেছে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর শিবির। কন্নড়ভূমে উঠে এসেছে 'রিসর্ট রাজনীতি'র তত্ত্বও। আর এবার সংখ্যাগরিষ্ঠ জেডিএস-কংগ্রেস জোট সেখানে ১০ বিধায়ক খুইয়ে সরকার হারানোর দোড়গোড়ায়। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে টানটান উত্তেজনায় মেতে উঠেছে দক্ষিণী রাজনীতি।
|
'ছেড়ে যাওয়া বিধায়করা ফিরে আসবেন'!
কর্ণাটকে কংগ্রেসের অন্যতম চাণক্য তথা কন্নড় রাজনীতির বিত্তশালী ও প্রভাবশালী নেতা ডি শিবকুমার গোটা পরিস্থিতিতে কার্যত 'ক্রাইসিস ম্যানেজার'। এর আগেও কংগ্রেস জেডিএস সরকার যথন বিপাকে পড়েছিল, তখন বিধায়কদের তিনি নিজের রিসর্টে নিয়ে গিয়ে রেখে সরকার পতন রোখেন। এদিন জেডিএস নেতা দেবেগৌড়ার সঙ্গে বৈঠকের প্রেক্ষাপটে ডি শিবকুমার বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি ছেড়ে যাওয়া বিধায়করা ফিরে আসবেন।'
|
'পার্টির মধ্যে চোর '
এক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা এদিন অভিযোগ তোলেন যে কর্ণাটকে গোটা পরিস্থিতিতে 'পার্টির ভিতরের চোর ' একমাত্রা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। আর এই মন্তব্যের পাশাপাশি, কন্নড় কংগ্রেসে শোরগোল আরও বেড়ে যায়।
|
'ওয়েট অ্যান্ড সি'
এদিন বিজেপির তরফে বিএস ইয়েদুরপ্পা বলেন 'ওয়েট অ্যান্ড সি। আমি এইচ ডি কুমারস্বামীর বা সিদ্দারামাইয়া কী বলেছেন তার প্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে চাই না। আমি এর সঙ্গে যুক্ত নই।'

মুম্বইয়ে একজোট বিধায়করা
কংগ্রেস সরকার ছেড়ে আসা হাত শিবিরের কন্নড় বিধায়করা মুম্বইয়ের সোফিতেল হোটেলে এই মুহূর্তে রয়েছেন। আর সেখানে বিজেপির তরফে প্রহ্লাদ যোশী পৌঁছেছেন বলে খবর। ফলে ফের একবার কন্নড় রাজনীতিতে উঠে আসছে 'রিসর্ট রাজনীতি'র গেমপ্ল্যান! এদিকে যখন কর্ণাটকের সিংহাসন যখন সংকটে তখন মুখ্য়মন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী ছিলেন দেশের বাইরে। আর দিল্লি ফিরেই বিশেষ বিমানে তিনি রওনা হয়ে যান বেঙ্গালুরুরল উদ্দেশে। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই জমতে শুরু করে কন্নড়ভূমের রাজনীতি।