বিয়ের লাইভ স্ট্রিম ফেসবুকে! শখে নয়, বরং এর পেছনে চাপা আছে অনেক যন্ত্রনা
বিয়েতে অসম্মত বাবা প্রেমিকের নামে মিথ্যে অভিযোগ করেছেন। তাই 'স্বেচ্ছায় বিয়ে'র প্রমাণ রাখতে ফেশবুকে বিয়ের অনুষ্ঠান লাইভ স্ট্রিম করলেন কর্ণাটকের এক যুগল।
প্রেমিক আদিবাসী সম্প্রদায়ের হওয়ায় বিয়েতে তীব্র আপত্তি ছিল কর্ণাটকের এক যুবতীর পরিবারের। এমনকী তাঁর বাবা স্থানীয় ডেজিএস নেতা তাঁকে দিয়ে জোর করে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও আনেন। তার জেরে পালিয়ে বিয়ে করলেন দুজনে। তা লাইভ স্টচ্রিম করলেন ফেসবুকে।
২০১৬ সালে হোয়াটসঅ্যাপে আলাপ হয়েছিল কীরণ কুমার ও অঞ্জনার। আলাপ গাঢ় হয়ে গড়ায় প্রেমে। তিনবছর প্রেম চলার পর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের। কীরণের বাড়িতে কোনও সমস্যা না হলেও বেঁকে বসেন অঞ্জনার বাবা তথা তুমাকুরু জেলার মধুগিরির জেডিএস নেতা থিমারাজু। অঞ্জনাকে দিয়ে জোর করে কীরণের বিরুদ্ধে অভিযোগও আনান।
অঞ্জনা জানিয়েছেন, তিনি জানতেন তাঁর বাবা রাজি হবেন না। কিন্তু তিনি যে এতদূর যাবেন তা তিনি কল্পনা করতে পারেননি। কীরণ ব্যবসা করেন, ১৯ বছরের অঞ্জনা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। এরপর দুজনেই উপায়ান্তর না দেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে আসেন বেঙ্গালুরুতে। ঠিক করেন সেখানকার এক মন্দিরে বিয়ে করবেন।
তাঁরা পালানর পরেই কীরণের বিরুদ্ধে থানায় তাঁর মেয়েকে অপরহণ করার অভিযোগ এনেছিলেন থিমারাজু। কিন্তু, অঞ্জনাকে যে কেউ বিয়ের জন্য জোর করছে না, তা প্রমাণের জন্যই দুজনে ঠিক করেন বিয়ের অনুষ্ঠানটি ফেসবুকে লাইভ করবেন। এরপরই ফেসবুক লাইভ অন করে বেঙ্গালুরুর এক মন্দিরে গত শুক্রবার বিবাহ সেরেছেন তাঁরা।
এদিকে অঞ্জনার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে কীরণকে খুঁজছিল পুলিশ। ফেসবুক লাইভে তাদের বিয়ের ভিডিও দেখার পর অবশ্য তারা মামলাটি বন্ধ করে দেবে বলে জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমরা মেয়েচিয় বয়ান নেব। যেহেতু তিনি প্রাপ্তবয়স্ক তাই এক্ষেত্রে অপহরণের অভিযোগ খাটছে না।'
তবে পুলিশের এই বিবৃতি বিশেষ ভরসা দিচ্ছে না নবদম্পতিকে। তাঁদের আশঙ্কা ষেন তেন প্রকারে এখনও তাঁদের আলাদা করার চেষ্টা করবেন পুলিশ ও অঞ্জনার বাবা। তাই আপাতত তাঁরা গা ডাকা দিয়েই আছেন। অঞ্জনা হুমকি দিয়েছেন, তাঁদের কোনওভাবে আলাদা করতে চাইলে তাঁরা দুজনেই আত্মহত্যা করবেন।