ফার্সি শব্দ ‘হিন্দু’ কথার অর্থ খুব নোংরা, কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক
ফার্সি শব্দ ‘হিন্দু’ কথার অর্থ খুব নোংরা, কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক
নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত হল কর্ণাটকের কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় এক নেতার মন্তব্য। কর্ণাটকের কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতা তথা কর্ণাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী সতীশ জারকিহোলি হিন্দু নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, হিন্দু শব্দটি ফার্সি শব্দ এসেছে। ফার্সিতে হিন্দু কথার অর্থ নোংরা। এই মন্তব্যের জেরে সমালোচিত হতে শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতা।
বিতর্ক কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে
জারকিহোলি কংগ্রেস সরকারের বনমন্ত্রী হিসাবেও কাজ করেছেন। রবিবার বেলাগাভি জেলায় একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন সতীশ জারকিহোলি। সেখানে তিনি বলেন, হিন্দু শব্দটি আসলে একটি ফার্সি শব্দ। এর অর্থ হল প্রচণ্ড নোংরা। পাশাপাশি তিনি বলেন, হিন্দু ধর্ম ভারতের আদি ধর্ম নয়। পাশাপাশি তিনি হিন্দি ভাষার আগ্রাসন নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা কখনই কাম্য নয়। সতীশ জারকিহোলি জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, একটা বিদেশি ভাষাকে চাপিয়ে দেওয়া হলে তা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। এই বিরুদ্ধে দেশের প্রতিটা মানুষের প্রতিবাদ করা উচিৎ। ইতিমধ্যে সতীশ জারকিহোলির এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
পারস্যের পর্যটকের মুখে প্রথম হিন্দু শব্দ
এক মাস আগে এই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন যুক্তিবাদী ও লেখক কে এস ভগবান। হিন্দু ধর্মের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন, বেদ সহ পৌরাণিক গ্রন্থে কোথাও হিন্দু কথাটি নেই। পারস্য ভ্রমণকারীর মুখ থেকে প্রথম হিন্দু শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায় বলে তিনি বলেন। কেএস ভগবানের এই মন্তব্যের পরেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি হিন্দু ধর্মের নেতারা ভগবানের সমালোচনা করেন।
বেদ, উপনিষদে নেই হিন্দু শব্দের উল্লেখ
চলতি বছর দশেরা উদযাপনের সময় তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, হিন্দু ধর্ম বলে যাকে উপস্থাপণ করা হচ্ছে, তা ব্রাহ্মণ্যবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়। হিন্দু শব্দটি প্রথম একজন পারস্যের পর্যটকদের কাছ থেকে পাওয়া যায়। তিনি সিন্ধু নদীকে হিন্দু নদী হিসেবে অবিহিত করেছিলেন। কারন তাদের ভাষায় সি ছিল না। এছাড়াও কেএস ভগবান উল্লেখ করে, বেদ, উপনিষদ, শাস্ত্র কোথাও হিন্দু শব্দের উল্লেখ নেই। তিনি অভিযোগ করে, হিন্দুর নাম করে ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রচার চালানো হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। মনু সংহিতার মতো বইয়ের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, পুরানে হিন্দু শব্দটির উল্লেখ পাওয়া না গেলও বৌদ্ধ ধর্মের উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। ভারতের আদি ধর্ম হল বৌদ্ধধর্ম।
কংগ্রেসের যাত্রাভঙ্গ করে বিজেপির জয়ের পথ সুগম করছে আপ, রাহুল তবু আশাবাদী মোদী-রাজ্যে