২৩ মে-র পরেই বিজেপি বিধায়কদলে ভাঙন হবে! পাল্টা দিল কংগ্রেস
২৩ মে লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পরেই বিজেপিতে ভাঙন ধরানোর হুঁশিয়ারি দিলেন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা কেসি বেনুগোপাল।
২৩ মে লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পরেই বিজেপিতে ভাঙন ধরানোর হুঁশিয়ারি দিলেন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা কেসি বেনুগোপাল। বললেন, সপ্তদশ লোকসভার ফলাফল বেরনোর পরেই রাজ্যের বহু বিজেপি বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দেবেন। তবে বেনুগোপাল দাবি করেন, কোনও কেনা-বেচা নয়, বিধায়করা স্বেচ্ছায় দলবদল করবেন।
কংগ্রেস নেতা বেনুগোপাল বলেন, তারা কোনও বিজেপি বিধায়কেই অনুরোধ করবেন না। ২৩-এর ফল বেরনোর পরেই তারা কংগ্রেসে যোগ দেবেন। দাবি করেছেন তিনি। গত একবছর ধরে কর্নাটকের রাজনীতিতে বিধায়ক কেনা-বেচার গল্প শোনা যাচ্ছে। তবে এনিয়ে মূলত বিজেপির বিরুদ্ধেই অভিযোগ ছিল। অন্যদিকে, কংগ্রেস ও জেডিএস একসঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বেনুগোপাল বলেছেন, তারা সরকার গঠন করেছেন এবং গত একবছর ধরে রাজ্যে শাসন চালিয়ে যাচ্ছেন। কর্নাটকে তাদের শাসন জারি থাকবে বলে আত্মবিশ্বাসী ওই কংগ্রেস নেতা।
এবছরের জানুয়ারিতে বিজেপি তাদের ১০৪ জন বিধায়ককে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল গুরুগ্রামের হোটেলে। কংগ্রেস তাদের বিধায়কদের ভাঙাতে পারে, এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এর প্রায় একমাস পরে কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়, বিজেপির বিএস ইয়েদুরাপ্পা তাদের ১৮ জন বিধায়ককে ২০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন। কর্নাটকের কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস।
ইতিমধ্যে দুদফায়, ১৮ ও ২৮ এপ্রিল কর্নাটকের লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় জেডিএস-এর আসন সংখ্যা ৩৭, কংগ্রেসের ৮০। এর সঙ্গে বেশ কয়েকজন নির্দল বিধায়কও সমর্থন করছে। কর্নাটক বিধানসভায় গরিষ্ঠতা পেতে গেলে ১১৩ আসনের প্রয়োজন।