কর্ণাটকের কলেজে ফেজ টুপি পরে আসায় ছাত্রকে মারধর, অধ্যক্ষসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
কর্ণাটকের কলেজে ফেজ টুপি পরে আসায় ছাত্রকে মারধর, অধ্যক্ষসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
মাথায় ফেজ টুপি পরে কলেজে ঢোকায় এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনা ঘটল। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বগালকোট জেলার তেরদালায় ফার্স্ট গ্রেড সরকারি ডিগ্রি কলেজে। এই ঘটনায় সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টর সহ সাতজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরুই করে দিয়েছেন।
কেন ঘটল এমন ঘটনা
জানা গিয়েছে, ১৯ বছর বয়সী ছাত্র নাভিদ হাসানসাব থারথারির সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ডিগ্রি কলেজের প্রথম শ্রেণির ছাত্র তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ ফেব্রুয়ারি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তিনি কলেজে ফেজ টুপি পরে কলেজে গিয়েছিলেন। টুপি পরে যাওয়ায় কলেজের অধ্যক্ষ তাঁকে কলেজে ঢুকতে বাধা দেন। তিনি এও জানান, কলেজে ভিতরে কিন্তু ফেজ টুপি ব্যবহারে কোনও সরকারি বিধিনিষেধ নেই। তাহলে ফেজ টুপি পরে কলেজে গেলে কেন তাঁকে পুলিশ মারধর ও অপমান করবে। কারণ, তিনি ধর্ম বিশ্বাস করতেন। আর এই বিশ্বাসের জন্য তাঁকে অপমানও সহ্য করতে হয়েছে বলে ছাত্রটি অভিযোগ করেছেন। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেন।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাটি যাচাই করার জন্য ও ভালো করে তদন্তের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। ২৪ মে অধ্যক্ষ, সাব-ইন্সপেক্টর ও অন্য পাঁচজন পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ছাত্রটি কিন্তু জানিয়েছেন, তাঁর বিশ্বাসের জন্য পুলিশ তাঁকে লাঞ্ছিত করেছে। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছেন।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন
বলা বাহুল্য, এর আগেও হিজাবের ঘটনায় কর্ণাটক উত্তাল হয়ে উঠেছিল। হিজাব ইস্যুটি ম্যাঙ্গালুরুতে পুনরুত্থান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শনিবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই বলেন, সবাইকে সরকার ও হাইকোর্টের আদেশ মেনে চলতে হবে। আবারও হিজাব নিয়ে বিতর্কের প্রয়োজন নেই। এঘটনায় আদালত আদেশ দিয়েছে। আদালত ও সরকারের আদেশ সবাইকে মানতে হবে।