শিয়রে ৩ কেন্দ্রে উপনির্বাচন, করোনা ঠেকাতে ফের কড়া বিধিনিষেধ আরোপ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
শিয়রে ৩ কেন্দ্রে উপনির্বাচন, করোনা ঠেকাতে ফের কড়া বিধিনিষেধ আরোপ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
নতুন করে প্রায় গোটা দেশেই দাপট বাড়াচ্ছে মারণ করোনা। এদিকে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের মুখে করোনা রুখে সুষ্ঠ ভাবে ভোট প্রক্রিয়া করার জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশিকাও জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এমতাবস্থায় এবার কর্নাটক উপনির্বাচন উপলক্ষ্যেও জারি হল কোভিড আচরণ বিধি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত গোটা দেশের কোভিড তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে এই রাজ্য।
১৭ এপ্রিল উপনির্বাচন
সূত্রের খবর, কর্নাটকের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে উপনির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এদিন এই নয়া কোভিড বিধি জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আগামী ১৭ এপ্রিল কর্নাটকে ১টি লোকসভা ও ২ টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় ভোটের আবহে ও ভোটগ্রহণের সময় যাতে নতুন করে সংক্রমণ না ছড়ায় তাই কর্নাটক সরকারের তরফে এই নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
কী বলছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনার ?
সদ্য প্রকাশিত নির্দেশিকায় রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনার ত্রিলোক চন্দ্র স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, " রাজ্যে বিরাজমান কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৩টি কেন্দ্রে উপনির্বাচনে আয়োজনে জড়িত সমস্ত মানুষকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। তাদের নিজস্ব সুরক্ষা এবং সংক্রমণ রোধে তাদের প্রত্যেককে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাগুলি কঠোরভাবে অনুসরণ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।"
ভোট রয়েছে কোন কোন কেন্দ্রে ?
কর্নাটকের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের বেলগাঁও লোকসভা কেন্দ্র, উত্তরাঞ্চলের বিদার ও রায়চুর জেলার বাসভকল্যাণ এবং মাস্ক (এসটি) বিধানসভা আসনের জন্য আগামী ১৭ এপ্রিল উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৩টি আসনেরই ভোট গণনা হবে আগামী ২ মে। এদিকে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, টিকা প্রাপ্ত সহ ভোট প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকা সকল ব্যক্তিকেই উপনির্বাচনের প্রক্রিয়া চলাকালীন ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ফেস মাস্ক পরতে হবে। এমনকী ২ মে ভোট গণনার সময়েও তাদের একই বিধি অনুসরণ করতে হবে।
করোনা রুখতে কী কী ব্যবস্থা করেছে কমিশন ?
এমনকী থার্মাল স্ক্যানিং বা স্ক্রিনিংও বাধ্যতামূলক করেছে কমিশন। পাশাপাশি নির্বাচনী কার্যকলাপ পরিচালিত হচ্ছে এমন হল, ঘর, অফিস সহ প্রতিটা জায়গায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান এবং জল সরবরাহ করা হবে কমিশনের তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত কর্নাটকে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯ লক্ষ ৮১ হাজারেরও বেশি। মারা গিয়েছেন প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মানুষ। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৯ হাজারের কাছাকাছি।
প্রথম দফায় লাইম লাইটে ছত্রধর, ১১ বছর পর ভোট দিয়ে কোন বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা