মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজদ্রোহের অভিযোগ! সরকার ফেলতে সক্রিয় মোদী ব্রিগেড
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীকে রাজদ্রোহে অভিযুক্ত করা হোক। পুলিশের কাছে কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে রাজদ্রোহের অভিযোগের পাশাপাশি রাজ্যপালের কাছেও এই দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফে।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীকে রাজদ্রোহে অভিযুক্ত করা হোক। পুলিশের কাছে কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে রাজদ্রোহের অভিযোগের পাশাপাশি রাজ্যপালের কাছেও এই দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফে।
কর্ণাটকের কংগ্রেস-জনতা দল সেকুলার সরকারকে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ করে বৃহস্পতিবার রাজ্যের সাধারণ মানুষকে বিজেপির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। এর পরেই বিতর্ক ছড়ায়।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয় বিজেপি। পাশাপাশি এই ধরনের বক্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করে তারা। রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে বিজেপি বলেছে, সংবিধানকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন কুমারস্বামী। সেইজন্য সংবিধানের পাশাপাশি দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতা রক্ষায় কাজ করতে হবে।
পুলিশের কাছে বিজেপির দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অভিযোগ আনা হোক। যার মধ্যে অন্যতম অভিযোগ হল রাজদ্রোহ। রাজ্যপাল বজুভাই বালার কাছে একই দাবি করে আবেদন পেশ করেছে বিজেপি।
বিজেপি সাংসদ, শোভা কারান্ডলাজে বলেছেন, কুমারস্বামী একটি সাংবিধানিক পদে রয়েছেন। তথাপি তিনি বিদ্রোহের আবেদন জানাচ্ছেন। এর বিরুদ্ধেই তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। সেইজন্যই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ।
এদিকে, জনতাদল সেকুলারের তরফ থেকে বিধানসভার অধ্যক্ষ কেআর রমেশ কুমারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, অসাংবিধানিকভাবে তাদের জোট সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি। চিঠিতে সভা-সমাবেশ এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজ্যের বিরোধী নেতা তথা বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পার সরকার পতনের হুমকির কথাও তুলে ধরা হয়েছে জনতাদল সেকুলারের তরফ থেকে।
জনতাদল সেকুলারের তরফ থেকে অভিযোগ, কংগ্রেস এবং তাদের দলের কমপক্ষে ১০ জন বিধায়ককে দলবদল করলে বিজেপির তরফে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।