পাকিস্তানকে কার্গিলের যুদ্ধে ধরাশায়ী করে রুদ্ধশ্বাস জয়, নেপথ্য নায়কদের কাহিনি একনজরে
১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ ভারত ও পাকিস্তানের ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায়। ভারতের মাটিতে পাকিস্তানের আগ্রাসন আর সেই ভুলের খেসারত চোকাতে গিয়ে পাক সেনাকে কার্যত ধরাশায়ী হয়ে যেতে হয় ভারতের সেনার কাছে।
১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ ভারত ও পাকিস্তানের ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায়। ভারতের মাটিতে পাকিস্তানের আগ্রাসন আর সেই ভুলের খেসারত চোকাতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাকে কার্যত ধরাশায়ী হয়ে যেতে হয় ভারতের সেনার কাছে। ২০ বছর আগে ভারত এই যুদ্ধ রূদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের মাধ্যমে জিতে নেয়। সেই লড়াইয়ের নেপথ্যে রয়েছে অজস্র বলিদান। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, এই যুদ্ধ জয়ের আসল কারিগরদের কাহিনি।
'হয় তেরঙ্গা উড়িয়ে ফিরব, নয় তেরঙ্গা জড়িয়ে ফিরব '
অসামান্য মানসিক জোর! পরমবীর চক্রের অধিকারী ক্যাপ্টেন বিক্রম বত্রার কার্গিল যুদ্ধের অন্যতম নায়ক। '৯৯ সালের ১ জুন, ক্যাপ্টেন বাত্রা ও তাংর টিমকে পাঠানো হয় কার্গিলের ৫১৪০ পয়েন্ট দখল করার উদ্দেশে। ১৭ হাজার ফিট উঁচুতে টিম নিয়ে উঠতেই ক্যাপ্টেন মুখোমুখি হন এক জঙ্গি কামান্ডরের। লড়াই চলে। খতম হয় পাক জঙ্গিরা। বাত্রার সাহসিকতার সামনে টিকতে পারেনি পাকিস্তানি জঙ্গিরা। এর পরবর্তী পর্যায় ছিল পয়েন্ট ৪৭৫০ দখন করা। যেখানে পৌঁছতেই ক্যাপ্টেন বাত্রার কাছে জঙ্গিদের বার্তা আসে ,'ফিরে যাও শের শাহ (ক্যাপ্টেন বাত্রা) তোমার দেহ নেওয়ার জন্য কেউ বেঁচে থাকবে না এখানে', পাল্টা জবাব দেন ক্যাপ্টেন, 'আমাদের নিয়ে না ভেবে নিজের সুরক্ষার কথা ভাবো।' আর এরপর ৭ জুলাই কার্গিল যুদ্ধের মধ্যে নিজের সহযোদ্ধাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারান ভারতীয় সেনার এই বীর ক্যাপ্টেন।
'বাটালিক' আগলে ছিলেন মনোজ কুমার পাণ্ডে
কার্গিলের বাটালিক সেক্টর আগলে ছিলেন ক্যাপ্টেন মনোজ কুমার পাণ্ডে। পাকিস্তানী অনুপ্রবেশকারীরা বাটালিক দিয়ে ঢোকার মুখেই তাদের গুলি করে হত্যা করেন এই বীর ক্যাপ্টেন। এরপর ১৯৯৯ সালের এই যুদ্ধে ৩ রা জুলাই খালুবার দিয়ে নিজের দল নিয়ে যখন লক্ষ্যের উদ্দেশে এগিয়ে যান ক্যাপ্টেন পাণ্ডে, তখন শত্রুপক্ষ আশপাশের উঁচু পাহাড়ে লুকিয়ে সেখান থেকে গুলি বর্ষণ করে। মুহূর্তে তা টের পেয়ে নিজের দলেকে বাঁচান মনোজ। তবে পাক গোলাবর্ষণে শহিদ হন ভারতের এই বীর সন্তান।
ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ার
১৯৯৯
সালের
৭
জুলাইয়ের
ঘটনা।
২৪
বছরের
ক্যাপ্টেন
অনুজ
নায়ারের
দায়িত্ব
ছিল
পয়েন্ট
৪৮৭৫
কে
রক্ষা
করা।
আর
সেই
কর্তব্যে
অবিতল
থাকতে
গিয়েই
শত্রুর
গুলিতে
আহত
হন
তিনি।
তার
আগে
অবশ্য
৯
জন
পাকিস্তানি
সেনা
জওয়ানকে
যুদ্ধক্ষেত্রে
হত্যা
করেন
অনুজ।
এরপর
গুলিবিদ্ধ
অনুজ
নায়ার
নিজেও
যুদ্ধ
ক্ষেত্রে
প্রাণ
হারান।
সঞ্জয় কুমারের লক্ষ্য ছিল 'এরিয়া ফ্ল্যাট টপ'
১৯৯৯ সালের ৪ জুলাইয়ের ঘটনা। যেদিন এরিয়া ফ্ল্যাট টপ দখল করার দায়িত্ব পান ভারতীয় সেনার রাইফেলম্যান সঞ্জয় কুমার। লক্ষ্যে স্থির থেকে শত্রুদের ৩ জনকে নিকেশ করেন সঞ্জয়। এরপর দখল করা হয় 'এরিয়া ফ্ল্যাট টপ'। বর্তমানে তিনি পরমবীর চক্রের অধিকারী।