প্রয়াত কেরলের ভাগীরথী আম্মা, ১০৫ বছর বয়সে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছিলেন তিনি
প্রয়াত কেরলের ভাগীরথী আম্মা, ১০৫ বছর বয়সে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছিলেন তিনি
প্রয়াত কেরলের ভাগীরথী আম্মা। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০৯ বছর। ১০৫ বছর বয়সে পরীক্ষায় পাস করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে তাঁকে পুরস্কৃত করেছিলেন। কেরলের কোল্লাম জেলার বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর তিনি বৃহস্পতিবার রাতে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাররেই মারা যান।
পড়াশোনা করতে ভীষণ ভালবাসতেন তিনি।তাই শেষ বয়সে এসেও তাঁর একটাই ইচ্ছে ছিল পড়াশোনা করা। নাতি-পুিতরা আম্মার সেই ইচ্ছে পূরণ করেন। কোল্লাম জেলার পারাক্কুলামের বাসিন্দা তিনি। নাতি-পুতিদের উদ্যোগেই পরীক্ষা দেন তিনি। ১০৫ বছর বয়সে পরীক্ষা িদয়েও অঙ্কে পুরো নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। ২৭৫ নম্বরের পরীক্ষায় ২০৫ পেয়েছিলেন ভাগীরথী আম্মা।
তাঁর এই সাফল্যের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন তিনিই নারী শক্তির উন্নয়নের উদাহরণ তিনি। নজির তৈরি করেছেন ভাগীরথী আম্মা। ২০১৯ সালে রাজ্যের শিক্ষা অভিযান শুরু করেছিল পিনারাই বিজয়ন সরকার। সেই প্রকল্পেই পরীক্ষা দেন তিনি। পরিবেশ বিদ্যা, অঙ্ক এবং মালায়লম এই তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। লেখার সমস্যা থাকায় তিন দিন ধরে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি।
মাত্র ৯ বছর বয়সে পড়া ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু পরিবারের চাপে পড়াশোনা করা হয়নি। কিন্তু পড়াকে ভীষণ ভালবাসতেন তিনি। মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাগীরথী আম্মার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহের উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন,যদি আমাদের জীবনে কিছু অর্জন করতে হয় তাহলে যেন ছাত্র বা পড়ুয়া হওয়ার মানসিকতা থেকে নিজেকে সরিয়ে না রাখি। এক মাত্র এই শেখার অদম্য ইচ্ছাই মানুষকে জীবনে উন্নিত করতে পারে। সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছিলেন ভাগীরথী আম্মা।