কংগ্রেসের সংস্কার চেয়ে ২৩ জনের চিঠি, তাঁরা বিশ্বাসঘাতক নন, বললেন সিবাল
কংগ্রেসের সংস্কার চেয়ে ২৩ জনের চিঠি, তাঁরা বিশ্বাসঘাতক নন, বললেন সিবাল
সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে দলের সংস্কার চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন ২৩ জন কংগ্রেস নেতা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম কপিল সিবাল শনিবার বলেন, তাঁদের উদ্বেগের বিষয়টি কংগ্রেস কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সমাধান করা যায়নি। চিঠিটি লেখার পরে যারা আক্রমণ করেছিলেন, তাঁদের কেউই কোনও পদক্ষেপ নেননি। ফলে সমস্যা সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে।
২৩ জন সিনিয়র নেতা দলীয় প্রধান সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দলে সুস্পষ্ট পরিবর্তন চেয়েছিলেন। এই তালিকায় পাঁচ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ শশী থারুর, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য মণীশ তেওয়ারি এবং এক ডজনেরও বেশি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন, যাঁদের বহু বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
কপিল সিবাল জানিয়েছেন, কংগ্রেসের একজন 'ডি জুরে অ্যান্ড ডি ফ্যাক্টো প্রেসিডেন্ট' দরকার এবং চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে সমাধান করা উচিত বলে জানানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ভারতের জাতীয় কংগ্রেস সর্বদা বিজেপির দিকে সংবিধান অনুসরণ না করার এবং গণতন্ত্রের ভিত্তি নষ্ট করার অভিযোগ করে। কিন্তু নিজেরাই যে দলটির সংবিধানের অনুসরণ করছে না, সেটা ভাবছে না।
তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিতে কেবল আনুগত্য নয়, আরও বেশি কিছু প্রয়োজন। এই আনুগত্যের সঙ্গে যোগ্যতারও অন্তর্ভুক্তি ঘটাতে হবে, প্রয়োজন দায়বদ্ধতার। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা একজন পুরো সময়ের কার্যকর নেতৃত্ব, সিডাব্লুসি'র নির্বাচন এবং কংগ্রেসের পুনর্জাগরণের জন্য ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন।
সিডব্লিউসি বৈঠক চলাকালীন এই চিঠির স্বাক্ষরকারীদের "বিশ্বাসঘাতক" বলে অভিহিত করা হয়েছিল। নেতৃত্বের দাবি জানানো হয়েছিল। চিঠিটি খুব সভ্য ভাষায় লেখা হয়েছিল। কোনও অসমর্থিত ভাষা ব্যবহার করা হয়নি। তা সত্ত্বেও এমন অভিযোগ ওঠে। চিঠি ফাঁস নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। এ জাতীয় কোনও প্রচেষ্টাই ছিল না কারও।
বিজেপিতে অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট হবে না তো, আমচকাই বাংলায় বহু মুখ