বিলকিস বানো মামলায় ১১ আসামির সাজা প্রত্যাহার করাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন, শুনানি আজ
Array
ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি বিশেষ তিন বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় গুজরাটের ১১ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে মকুব করে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ করে একটি পিটিশনের শুনানি করবে৷ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এই আদেশ দেন৷ আইনজীবী অপর্ণা ভাটের প্রাথমিক শুনানির জন্য আদালতে উল্লেখ করা হলে জরুরীভাবে পিটিশনটি তালিকাভুক্ত করতে সম্মত হন।
কী বলছেন চ্যালেঞ্জ করা আইনজীবীরা ?
আইনজীবী কপিল সিব্বল যিনি অপর্ণা ভাটের সঙ্গে ছিলেন, "আমরা সাজা মকুব করে দেওয়াকে ফের চ্যালেঞ্জ করছি। ১৪ জন নিহত হয়েছিল এবং একজন গর্ভবতী মহিলাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল, এমন এক ঘটনায় সাজা মকুব হওয়া কী করে সম্ভব, তাই আমরা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের আদালতে লড়ব" ।
কারা থাকবেন বেঞ্চে ?
বেঞ্চে বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং বিক্রম নাথও থাকবেন। গুজরাট সরকার ১৯৯২ সালের সাজা মকুবের জন্য দোষীদের আবেদন মঞ্জুর করার জন্য তার মকুব নীতির উপর নির্ভর করেছিল। অভিযুক্তরা, রাধেশ্যাম ভগবানদাস শাহ, লালা ভাকিল, ৯ জুলাই, ১৯৯২ এর মকুব নীতির শর্তে অকাল মুক্তির জন্য আবেদন করে।
আগে কী বলেছিল আদালত ?
সুপ্রিম
কোর্ট
হরিয়ানা
রাজ্য
বনাম
জগদীশের
রায়
অনুসরণ
করেছিল
যা
বলেছিল
যে
দোষী
সাব্যস্ত
হওয়ার
সময়
প্রযোজ্য
নীতিকে
আগে
মুক্তির
দেওয়ার
আবেদনের
সিদ্ধান্ত
নেওয়ার
জন্য
বিবেচনা
করা
উচিত।
১৩
মে
এর
রায়ে,
বিচারপতি
রাস্তোগির
নেতৃত্বে
একটি
বেঞ্চ
বলেছিলেন
এই
সিদ্ধান্তে
উপনীত
হয়েছে
যে
গুজরাত
ছিল
ফৌজদারি
কার্যবিধির
ধারা
৪৩২
এর
অধীনে
মামলায়
দোষীদের
ক্ষমা
করার
সিদ্ধান্ত
নেওয়ার
জন্য
"উপযুক্ত
সরকার"৷
১৫
অগাস্ট
দোষীদের
মুক্তিকে
চ্যালেঞ্জ
করে
আবেদনটি
দায়ের
করেছিলেন
সিপিআই(এম)
নেতা
শুভাশিনী
আলি৷
সাংবাদিক
এবং
চলচ্চিত্র
নির্মাতা
রেবতী
লাউল
এবং
প্রাক্তন
দর্শনের
অধ্যাপক
এবং
কর্মী
রূপ
রেখ
ভার্মা
১১
জন
দোষীর
সাজা
মকুব
করায়
রাজ্য
সরকারের
সিদ্ধান্ততে
ক্ষোভ
প্রকাশ
করেছে।
কারাদণ্ডের নির্দেশ
২০০২ সালে গোধরা পরবর্তী বিলকিস বানো মামলায় ১১ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। আসামিদের চলতি বছর স্বাধীনতা দিবসের দিন মুক্তি দেওয়া হয়। ২১ জানুয়ারি ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত বিলকিল বানোর পরিবারের সাতজনকে গণধর্ষণ ও হত্যার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। পরে বোম্বে হাইকোর্ট তাদের দোষী সাব্যস্ত করে। আসামি ১১ জন ১৫ বছরের বেশি জেলে ছিল। দোষীদের একজন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন জামিনের। গোধরা জেলার কালেক্টর সুজয় মায়াত্র জানিয়েছেন, আসামিদের সাজা মুকুবের জন্য গুজরাত সরকারকে সুপ্রিম কোর্ট একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। কয়েক মাস আগে কমিটি ক্ষমার সুপারিশ গুজরাত সরকারকে পাঠায়। এরপরেই আসামিদের মুক্তির আদেশ গুজরাত সরকার দেয় বলে জানা গিয়েছে।
বন্দুক উদ্ধার, গ্রেফতার হেমন্ত সোরেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী