বিহারের জনতা বুঝিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসে আস্থা নেই তাঁদের, বিদ্রোহের সুর কপিল সিবলের কণ্ঠে
বিহারের জনতা বুঝিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসে আস্থা নেই তাঁদের, বিদ্রোহের সুর কপিল সিবলের কণ্ঠে
ফের গান্ধীদের নিয়ে বিদ্রোহের সুর কপিল সিবলের কণ্ঠে। দলের বর্ষিয়ান নেতা বিহারে কংগ্রেসের নির্বাচনের ফলাফলের প্রকাশ্যেই সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন বিহারের জনমতই বুঝিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস তাঁদের পছন্দের নয়। সেকারণেই ৭০টি আসনের মধ্যে মাত্র ১৯টি পেয়েছে কংগ্রেস। এক প্রকার গান্ধী পরিবারের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
প্রকাশ্যে দলের সমালোচনা
বিহার বিধানসভা ভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে আমজনতা। প্রকাশ্যে দলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমালোচনার পারদ চড়ালেন বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল সিবল। বিহার এবং একাধিক বধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেসের করুণ দশা নিয়ে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন কপিল সিবল সহ কংগ্রেসের ২৩ জন নেতা। শুদ্ধিকরণ যে কতটা জরুরি হয়ে পড়েছে দলে তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
বিদ্রোহী কপিল
বিধানসভা ভোটের দলের খারাপ ফল নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করে এক প্রকার গান্ধী পরিবারের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন কপিল সিবল। নেতৃত্ব দলের সমস্যার কথা জেনেও কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন কপিল সিবল। তিনি দাবি করেছেন শুধু বিহার নয় মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশের উপনির্বাচনেও কংগ্রেসকে ফিরিয়ে দিয়েছেন মানুষ। এর থেকেই স্পষ্ট জনতা কংগ্রেসকে বিকল্প হিসেবে মনে করে না।
আত্মশুদ্ধি জরুরি
কপিল সিবল দাবি করেছেন যাঁরা দলের ওয়ার্কিং কমিটিতে রয়েছেন তাঁরা সকলেই জানেন কোথায় সমস্যাটা তৈরি হচ্ছে। সবটা জেনেও তাঁরা চুপ করে রয়েছেন। শুদ্ধি করণের কোনও চেষ্টাই করছেন না বলে প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছেন কপিল সিবল। সেটা জেনেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনও কর্ণপাত করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
কংগ্রেসের শোচনীয় হার
বিহার বিধানসভা ভোটের সময় সিমলায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বাড়িতে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এই নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। একটিবারের জন্যেও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বিহারে ভোট প্রচারে আসেননি। ৭০টি আসনের মধ্যে মাত্র ১৯টি আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। আর ধাক্কাতেই মহাজোট সরকার গড়তে পারেনি বিহারে এমনই দাবি করা হয়েছে।
বিজেপির নজরে বৈশ্য আর পিছড়ে সম্প্রদায়, ২ উপমুখ্যমন্ত্রী চূড়ান্ত করল এনডিএ