গান্ধী ঔদ্ধত্বে বিরক্ত কংগ্রেসের একাংশ! রাহুলকে তোপ কপিলের, পদত্যাগ করতে চাইলেন গুলাম নবি
সনিয়া গান্ধী দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর কাটতে না কাটতেই আবারও দলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের দাবি জানায় শীর্ষ নেতৃত্ব। দুই সপ্তাহ আগেই শতাব্দী প্রাচীন দলের শীর্ষ ২৩ নেতা অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে 'পূর্ণ সময়ের দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য' নেতৃত্বের দাবি জানিয়েছিলেন। আর এই প্রেক্ষিতেই এবার কংগ্রেসে আড়াআড়ি বিভাজন স্পষ্ট।
দলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের দাবি
দলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের দাবি জানায় শীর্ষ নেতৃত্ব। ২৩ জন শীর্ষনেতা এই মর্মে সনিয়া গান্ধীকে চিঠিও লিখেছিলেন। পাশাপাশি তাঁরা ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁদের চিঠির উত্তরে সনিয়া গান্ধী জানিয়েছিলেন, বৈঠক হবে। সকলে মিলে নতুন সভাপতির খোঁজ করা হবে।
আক্রমণে রাহুল গান্ধী
এদিন এই চিঠি নিয়েই মুখ খোলেন রাহুল গান্ধী। যদিও তিনি নিজে সভাপতি পদে নতুন মুখের দাবি করে এসেছেন, তাও এই চিঠি দেওয়ার সময় নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। রাহুলের দাবি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে যেভাবে দল সংকটে পড়েছিল, এবং এই একই সময় সনিয়ার যেভাবে শারীরিক অবস্থার অবনতী হয়; এরকম পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই চিঠি তখন দেওয়া উচিত হয়নি। শুধু তাই নয়, যএ কংগ্রেস নেতারা এই চিঠি লিখেছেন, তাঁরা বিজেপিকে মদত করছেন বলেও অভিযোগ করেন রাহুল।
কী বলেন গুলাম নবি?
রাহুলের এই আক্রমণে পিছু হটেন চিঠির লেখকদের অন্যতম গুলাম নবি আজাদ। পাশাপাশি বিজেপিকে মদত দেওয়াপ প্রসঙ্গে রাহুলের বিরোধিতা করেন কপিল সিব্বল। এদিন গুলাম নবি আজাদ বলেন যে তিনি পদত্যাগ করতে রাজি তবে তিনি বিজেপিকে সাহায্য করার লক্ষ্যে কোনও কিছুই করেননি।
পাল্টা তোপ কপিল সিব্বলের
একই সুরে কপিল বলেন, 'বিগত ৩০ বছরে আমি একবারও বিজেপির পক্ষে মুখ খুলিনি। রাজস্থানে কংগ্রেসের সরকার বাঁচানোর পাশাপাশি মণিপুরেও দলের হয়ে লড়ছি। সেখানে বিজেপি সরকারের পতনের জন্যে চেষ্টা চালাচ্ছি। আর আপনি বলছেন আমরা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছি?'
চিঠি পাঠানোর নেপথ্যে কোন নেতারা ছিলেন?
যে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে তাতে স্বাক্ষর রয়েছে কপিল সিব্বল, শশী থারুর, গুলাম নবি আজাদ, পৃথ্বীরাজ চৌহান, বিবেক তানখা এবং আনন্দ শর্মার মতো প্রবীণ নেতাদের। দাবি করা হয়েছে, রাহুল গান্ধী যদি দলের সভাপতি পদ গ্রহণে ইচ্ছুক না হন তবে দলের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে উপযুক্ত নেতা বেছে নেওয়া হোক ৷ সংগঠনের শীর্ষনেতৃত্ব থেকে তৃণমূলস্তর,সব জায়গাতেই আমূল সংস্কারেরও দাবি তুলেছেন কংগ্রেসের ওই পোডখাওয়া প্রবীণ নেতারাই৷
কংগ্রেসের মধ্যে বিভেদ তৈরি করেছে
এই চিঠিটি কংগ্রেসের মধ্যেই বিভেদ তৈরি করেছে। কিছু নেতা যেমন নতুন মুখ চাইলেও অমরিন্দর সিং, ভূপেশ বাঘেল এবং সিদ্দারামাইয়ার মতো নেতারা রাহুল গান্ধীর হয়েই কথা বলেছেন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং রবিবার সন্ধ্যায় বলেন, 'সনিয়া গান্ধীর উচিত যতক্ষণ সম্ভব এই কাজ চালিয়ে যাওয়া; তারপর রাহুল গান্ধীকেই দায়িত্ব দেওয়া উচিত।'
গভীর কোমায় আচ্ছন্ন কিম জং উন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা এবার বোনের হাতে!