'ব্র্যান্ড গান্ধী'-এর দাম বাড়াতেই বিহারে ভরাডুবি! সিব্বল ঘনিষ্টদের ক্ষোভ প্রকাশের পর শুরু কাটাছেঁড়
কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন অধীর চৌধুরী, সলমন খুরশিদ, অশোক গেহলটরা। বিহার নির্বাচন নিয়ে কপিল সিব্বলের ক্ষোভ প্রকাশের পরই গান্ধী ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত কংগ্রেস নেতারা আক্রমণ শানিয়েছিলেন কপিল সিব্বলের বিরুদ্ধে। এবার সেই আক্রমণের পাল্টা দিল সিব্বল ঘনিষ্টরা।
কপিলকে অধীরের তোপ
এর আগে বিহারে দলের শোচনীয় প্রদর্শনের জন্যে নেতৃত্বকে সংগঠন নিয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন কপিল সিব্বল। তারপরই লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর কোপের মুখে পড়েছিলেন কপিল সিব্বল। অধীর চৌধুরী কপিলকে তোপ দেগে বলেছিলেন, 'বিহারে নির্বাচনী ময়দানে নামা উচিত ছিল তাঁদের।' অধীর আরও বলেছিলেন, 'যদি কোনও নেতার মনে হয় যে কংগ্রেস তাঁদের জন্যে সঠিক দল নয়, তাহলে তাঁরা বিনা বাধায় দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিতে পারেন বা নিজেদের দল গঠন করতে পারেন।'
পাল্টা জবাব কপিল ঘনিষ্টদের
অধীরের এই আক্রমণের জবাবেই এবার ফুঁসে উঠল কপিল সিব্বল ঘনিষ্টরা। কপিল ঘনিষ্টদের তরফে জবাব, কংগ্রেস নেতৃত্ব চায়নি তাঁরা বিহারে ভোটের প্রচার করুন। মূলত রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক 'মূল্য বৃদ্ধি'র কারণেই কংগ্রেসের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনে কংগ্রেস জোট জিতলে সেই ক্ষেত্রে রাহুলকে দলের সভাপতি পদে বসানোই ছিল মূল লক্ষ্যে।
আরও চওড়া কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ চিড়
কপিল ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন, এই ধরনের মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। কারণ, অধীরবাবু ও অন্যান্য নেতারা হয়ত জানেন না যে ২৩ নেতাদের নিয়ে তাঁরা বলছেন, তাঁরা বিহারে নির্বাচনের প্রচারের তালিকায় ছিলেন না। তাই দল না বললে তো তাঁরা প্রচারে যেতে পারতেন না। প্রসঙ্গত, কংগ্রেসে গান্ধী বিরোধী সুর তুলে এর আগে হাইকমান্ডকে চিঠি দিয়েছিলেন কপিল সিব্বল সহ আরও ২২ জন নেতা। তবে সেবারও গান্ধীদের 'ব্র্যান্ড ভ্যালু' রাহুল-সোনিয়াদের বাঁচিয়ে দিয়েছিল।
বিহার নির্বাচনের ফলাফলে চাপে কংগ্রেস
উল্লেখ্য, বিহার নির্বাচনের ফলাফলে মুখ পুড়েছে কংগ্রেসের৷ এনিয়ে ঘরে-বাইরে সর্বত্র শুরু হয়েছে সমালোচনা। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে চাঙ্গা করতে অভিজ্ঞ কারো হাতে দলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ কপিল সিব্বল৷ পাশাপাশি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তাঁর বার্তা, দলীয় সংগঠনে অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা এবং শীর্ষ নেতৃত্বের মনোভাব বদলের সময় এসেছে৷
নির্বাসন কাটিয়ে গড়বেতায় ফিরছেন সুশান্ত ঘোষ, হারানো সাম্রাজ্য ফের ওড়াবেন লালঝান্ডা?