কংগ্রেস ছাড়া ইউপিএ আত্মাহীন দেহের মতো! মমতাকে জবাব কপিল সিবালের
কংগ্রেসে (Congress) রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরোধী হলেও, ইউপিএ (UPA) নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মন্তব্যের বিরোধিতা করলেন প্রবীন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল (Kapil Sibal)। এদিন তিনি টুইট করে বলেছেন,
কংগ্রেসে (Congress) রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরোধী হলেও, ইউপিএ (UPA) নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মন্তব্যের বিরোধিতা করলেন প্রবীন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল (Kapil Sibal)। এদিন তিনি টুইট করে বলেছেন, কংগ্রেস ছাড়া ইউপিএ আত্মাবিহীন দেহের মতো। প্রসঙ্গত বুধবার মুম্বইয়ে শারদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দেশে এখন আর ইউপিএ-র অস্তিত্ব নেই।
ইউপিএ-র অস্তিত্ব নিয়ে মমতা
বুধবার এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার সঙ্গে বৈঠকের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বর্তমানে ফ্যাসিজিমের বিরুদ্ধে কেউ লড়াই করছেন না। সেই কারণে বিকল্প শক্তি গড়ে তুলতে হবে। শারদজি সিনিয়র নেতা। তিনিও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন। তিনি শারদ পাওয়ারের মন্তব্যের সঙ্গে একতম। ইউপিএ-র কোনও অস্তিত্বই নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এছাড়াও জাভেদ আখতার, মেধা পাটেকরের মতো সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই তিনি সেলিব্রেটিদের বিজেপি নিশানা করছে বলে অভিযোগ করেন। সেখানে তিনি মহেশ ভাট এবং শাহরুখ খানের কথা উল্লেখ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তালিকায় আরও রয়েছেন। কেউ মুখ খুলছেন, কেউ খুলছেন না।
বুধবারই প্রতিবাদ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একটা সময়ে ইউপিএ নিয়ে মন্তব্য করলেন, যে সময় বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস ছেড়ে নেতা-নেত্রীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কিংবা দিচ্ছেন। অসম, গোয়া থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সুস্মিতা দেব এবং লুইজিনো ফেলেইরো। মেঘালয়ে মুকুল সাংমার দলত্যাগের জেরে কংগ্রেস বিরোধী আসনের মর্যাদা হারিয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন কেসি বেনুগোপাল এবং অধীর চৌধুরীর মতো সাংসদরা। বেনুগোপাল বলেন, কংগ্রেস ছাড়া বিজেপি বিরোধিতা স্বপ্নের মতো। অন্যদিকে অধীর চৌধুরী বলেছেন, এই ইউপিএ-র সাহায্যেই ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের গায়ে বিদেশি ছাপ মারতে বিজেপির সুরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
প্রতিক্রিয়া মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতাদেরও
কোনও
রাজনৈতিক
দল
যদি
তার
রাজনৈতিক
লাভ
এবং
ব্যক্তিগত
উচ্চাকাঙ্খার
কথা
চিন্তা
না
করে,
তাহলে
তারা
প্রত্যক্ষ
কিংবা
পরোক্ষভাবে
রাহুল
গান্ধীর
সমালোচনা
করতে
পারে
না।
কংগ্রেসই
দেশ
এবং
গণতন্ত্রের
একমাত্র
বিকল্প
বলে
দাবি
করেন
মহারাষ্ট্রের
মন্ত্রী
তথা
কংগ্রেস
নেতা
বালাসাহেব
থোরাত।
তিনি
অভিযোগ
করেছেন,
রাহুল
গান্ধী
এবং
তাঁর
পরিবার
বিজেপি
এবং
অন্য
রাজনৈতিক
দলগুলির
আক্রমণের
শিকার
হয়েছিলেন।
এমনকী
মানহানিকর
প্রচার
চালানো
হলেও
রাহুল
গান্ধী
পিছিয়ে
যাননি
বলে
মন্তব্য
করেছেন
ওই
মন্ত্রী।
অন্যদিকে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মন্তব্যের
প্রতিক্রিয়া
জানাতে
গিয়ে
মহারাষ্ট্রের
কংগ্রেস
নেতা
অশোক
চহ্বান
বলেছেন,
তিন
কৃষি
আইন
প্রত্যাহারের
জন্য
কংগ্রেসে
অবস্থান
দেশের
মানুষ
দেখেছেন।
ভবিষ্যতেও
সাধারণ
মানুষের
অধিকারের
জন্য
লড়াইয়ে
সামিল
হবে
সভানেত্রী
সনিয়া
গান্ধী
এবং
রাহুল
গান্ধী।
কপিল সিবালের প্রতিক্রিয়া
ইউপিএ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রবীন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল বলেছেন, কংগ্রেস ছাড়া ইউপিএ হল আত্মা ছাড়া দেহের মতো। এখন সময় এসেছে বিরোধী ঐক্য দেখানোর।
আবহাওয়ার খবর: নিম্নচাপের জেরে উধাও শীত, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস! একনজরে বাংলার আপডেট