ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ, কঙ্গনার তোপের মুখে টুইটার সিইও জ্যাক ডর্সি
এবার বিতর্কিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের তোপের মুখে পড়লেন টুইটারের সিইও জ্যাক ডর্সি। রবিবার ২০১৫ সালের একটি টুইট শেয়ার করে অভিনেত্রী জ্যাক ডর্সিকে কোনও কিছুর জন্য অসহিষ্ণুতার অভিযোগ এনেছেন। কঙ্গনার এই টুইটের আগে মাইক্রো–ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টুইতার স্থায়ীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত হ্যান্ডেল এবং টিম ট্রাম্পের টুইট অ্যাকাউন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং সম্প্রতি পোটাস হ্যান্ডেলের কিছু পোস্ট মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

টুইটারের সিইও তাঁর ২০১৫ সালের একটি টুইটে জানিয়েছিলেন যে মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে এবং ধর্মপ্রচার বন্ধ করতে বলেছিলেন। তিনি সেই টুইটে বলেন, 'সত্যি কথা বলার ক্ষমতার সঙ্গে আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি। আমরা সংলাপের ক্ষমতায়নের পক্ষে দাঁড়িয়েছি।’ এই টুইটকে কটাক্ষ করে কঙ্গনা পাল্টা টুইটে বলেন, 'না তুমি দাঁড়াওনি, ইসলামিক দেশ ও চিনের প্রচার তোমায় সম্পূর্ণভাবে কিনে নিয়েছে, তুমি কেবল তোমার ক্ষুদ্র লাভের পক্ষে দাঁড়িয়েছো। অন্য সবকিছুর চেয়ে তারা যা চায় তার প্রতি তুমি নির্লজ্জভাবে অসহিষ্ণুতা দেখিয়েছো। তুমি নিজের লোভের কাছে সামান্য দাস ছাড়া আর কিছুই নয়। আর প্রচার করবেন না খুবই বিব্রতকর।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিষেধাজ্ঞা করে দেওয়ার পর মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বহু ভারতীয় তারকা, রাজনৈতিকবিদ প্রযুক্তিবিদদের পেশী শক্তির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য শনিবার টুইটারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে জানিয়েছেন যে এটা তাঁদের জন্য এবার জেগে ওঠার পালা যারা অনিয়ন্ত্রিত বড় বড় টেক সংস্থাগুলির গণতন্ত্র নিয়ে হুমকিকে বুঝতে পারছেন না। তিনি মধ্যস্থতাকারীদের জন্য নির্দেশিকা পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রকেও অনুরোধ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীরা সামাজিক যোগাযোগের সামগ্রীতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। শিবসেনা নেতা প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীও টুইটারকে কটাক্ষ করে জানান যে ট্রাম্পের ঘৃণ্য বক্তৃতাগুলিকে নিয়ে প্রথমে দীর্ঘদিন ধরে সুবিধা ভোগ করে এখন ক্ষমতায় না থাকার জন্য তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেওয়া হয়েছে।
বাড়ছে উদ্বেগ! দেশজোড়া বিতর্কের মাঝেই কোভ্যাক্সিনের বিরোধিতায় ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী