কঙ্গনা বনাম মুম্বই পুরসভা মামলায় 'কুইন' পেলেন বড় জয়! টুইট বার্তায় আবেগঘন অভিনেত্রী
সংঘাত ছিল মূলত কঙ্গনা রানাওয়াত বনাম শিবসেনার সেই যুদ্ধ এগিয়ে যেতেই মুম্বইয়ে অভিনেত্রীর অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় মুম্বই পুরসভা। এরপরই আইনি পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন কঙ্গনা। একচুল জমি না ছেড়ে তিনি আইনি লড়াই চালিয়েছেন। যার পর এদিন বম্বে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে।

বম্বে হাইকোর্ট যা বলেছে
হাইকোর্ট এদিন শিবসেনার সঞ্জয় রাউতকে এক নির্দেশে জানিয়ে দিয়েছে, তিনি যেন কঙ্গনার দায়ের করা পিটিশনের প্রেক্ষিতে জবাব দেন। মূলত এই পিটিশন ছিল কঙ্গনার অফিস ভাঙার প্রসঙ্গে। পাশাপাশি আদালত এদিন জানিয়ে দেয় যে , কঙ্গনার বান্দ্রার সম্পত্তি এমনভাবে আংশিক ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকতে পারে না। বিশেষত বর্ষার সময় মুম্বইতে যা অবস্থা হয়, সেদিকে নজর রেখে ওই বিল্ডিং নিয়ে কোনও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না বলে জানায় আদালত।

উনি যা হারিয়েছেন তা ফিরিয়ে দিন
বম্বে হাইকোর্ট এদিন কঙ্গনা মামলায় সাফ জানায় যে, 'উনি যা হারিয়েছেন তা ওঁকে ফিরিয়ে দিন।' আদালতের এই বক্তব্যে আবেগঘন হয়ে পড়েন কঙ্গনা। সেকথা তিনি নিজের টুইট বার্তায় জানান। কঙ্গনা আদলাতের উদ্দেশে বার্তা রেখে বলেন, মুম্বইয়ের প্রবল বৃষ্টিতে তাঁর বাড়ির অবস্থার কথা যে এভাবে আদালত ভেবেছে, সেই বার্তা অভিনেত্রীর মনকে ছুঁয়ে গিয়েছে।

কঙ্গনার বার্তা
কঙ্গনা এই রায় শুনেই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। এক টুইট বার্তায় তিনি মুম্বই হাইকোর্টকে এমন রায় নিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। কঙ্গনা বলেন, এই রায়ের বার্তা তাঁর চোখে জল এনেছে। কঙ্গনা লেথেন, 'ধন্যবাদ , যা আমি হারিয়েছি তা আমায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।' এর সঙ্গেই তিনি লেখেন , তাঁর হৃদয়ের ক্ষতস্থানে মলম লাগাতে পেরেছে এই রায়।

শিবসেনা বনাম কঙ্গনা
ঘটনার সূত্রপাত সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলা ঘিরে। সেই মামলা নিয়ে কঙ্গনা মুখ খুলতেই পরিস্থিতির পারদ চড়তে থাকে। একটা সময় মুম্বই পুলিশকে একহাত নিয়ে কঙ্গনা দাবি করেন , 'মুম্বই যেন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর'। এরপরই শিবসেনার সঞ্জয় রাউত কঙ্গনাকে পাল্টা তোপ দাগেন। যার কয়েকদিন পর মুম্বইতে কঙ্গনার অফিস আইনি কারণে ভেঙে দেয় মুম্বই পুরসভা। যে ঘটনাতে প্রতিহিংসার তকমা দিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কুইন। এরপরই সংঘাত চরমে ওঠে।