জাতিসংঘের 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট' তকমা পেল কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক
নয়াদিল্লি, ১৮ জুলাই : জাতিসংঘের তরফে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট' তকমা পেল কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক। একইসঙ্গে ভারতের আরও দুটি জায়গাকে এই তকমা দেওয়া হয়েছে। একটি হল চণ্ডীগড়ের ক্যাপিটল কমপ্লেক্স ও অন্যটি হল বিহারের নালন্দা মহাবীর ক্ষেত্র।
এই প্রথম কোনও দেশের তিনটি স্থান একই অধিবেশনে হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি পেল বলে জানা গিয়েছে। এটি ভারতের পক্ষে অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। রবিরার জাতিসংঘের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সংষ্কৃতি মন্ত্রকের তরফে।
কাঞ্চনজঙ্ঘা পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ। এটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করতে গিয়ে জাতিপুঞ্জের তরফে এই অঞ্চলটিকে সমতল, উপত্যকা, লেক, হিমবাহ, জঙ্গল ও পাহাড়ি বন্যপ্রাণের এক অদ্ভুত মিশেল বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ফলে এটিকে মিশ্র হেরিটেজ সাইট হিসাবে স্বীকৃতি দিল জাতিসংঘ।
চণ্ডীগড়ের ক্যাপিটল মার্কেট সুইস-ফ্রেঞ্চ স্থাপত্যবিদ ল্য কর্বুসিয়র-এর নকশা করা। ভারত ছাড়াও আর্জেন্তিনা, জাপান ও ফ্রান্সে মোট ১৭টি স্থাপত্য তিনি তৈরি করেন। এগুলি সবকটিই হেরিটেজ সাইট হিসাবে জাতিসংঘের খাতায় জায়গা পেয়েছে।
অন্যদিকে বিহারের নালন্দা মহাবীর সাইট পুরাতত্ত্ব বিভাগে হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। তৃতীয় শতাব্দি থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দি পর্যন্ত চলা নালন্দা শিক্ষাক্ষেত্রে অনন্য নির্দর্শন স্থাপন করেছিল। এখানকার স্তূপ, শ্রাইন, বিদ্যাগ্রহণের স্থান বা বিল্ডিং, এছাড়া পাথর বা ধাতুর তৈরি দুষ্প্রাপ্য শিল্পসৃষ্টিকে হেরিটেজ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে ভারতে জাতিসংঘের হেরিটেজ সাইটের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৫। এর মধ্যে ৭টি প্রাকৃতিক স্থান, ২৭টি সাংষ্কৃতিক স্থান ও একটি মিশ্র বিভাগে হেরিটেজ তকমা পেল।
প্রসঙ্গত, কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্য়াশনাল পার্কটি সিকিমে অবস্থিত। কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের (৮৫৮৬ মিটার) নাম থেকেই এই পার্কের নামকরণ করা হয়েছে। এটি ৮৪৯.৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এখানে মাস্ক ডিয়ার, স্নো লেপার্ড ও হিমালয়ান তাহরের মতো বন্যপ্রাণীর দেখা পাওয়া যায়।