খাজুরাহোর 'কামসূত্র', ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য নয়, দাবি তুলে সরব বজরং সেনা
ভারতের মাটিতেই প্রাচীন ভারতীয় বই বাৎসায়নের লেখা 'কামসূত্র' কে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাল বজরং সেনা। মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহ মন্দির চত্বরে এই সংক্রান্ত ছবি ও বই বিক্রিকে তারা নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
ভারতের মাটিতেই প্রাচীন ভারতীয় বই বাৎসায়নের লেখা 'কামসূত্র' কে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাল বজরং সেনা। মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহ মন্দির চত্বরে এই সংক্রান্ত ছবি ও বই বিক্রিকে তারা নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। উল্লেখ্য, UNESCO এর 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' তকমা প্রাপ্ত এই মন্দিরের গায়েই খচিত রয়েছে কামসূত্র সংক্রান্ত মূর্তির বিভিন্ন আদল।
বজরং সেনার দাবি, 'কামসূত্র' ভারতীয় সংস্কৃতি বিরোধী। এই গেরুয়া গোষ্ঠির প্রশ্ন, মন্দির চত্বরে যেখানে শিবের মন্দির রয়েছে, সেখানে কীভাবে কামসূত্রের মতো বই বিক্রি হতে পারে? এতে পরবর্তী প্রজন্মের কাছেই বা কী বার্তা যাবে ? "মন্দিরের গায়ে যা আঁকা রয়েছে, তা এখানে চলতে পারেনা" বলে, এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বজরং সেনার সদস্য ইসরার মনসৌরি।
এবিষয়ে বজরং সেনা মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুর পুলিশে আবেদন জানিয়েছে। তাঁদের আরও দাবি খাজুরাহোতে যে সমস্ত মূর্তি মন্দিরের দেওয়ালের গায়ে খচিত রয়েছে , তার ছবিও বিক্রি করা যাবে না। শুধু তাই নয়, সেই সমস্ত মূর্তির ছবি রাখা যাবেনা মন্দির চত্বর সংলগ্ন কোনও ক্যান্টিনে। বিশেষত যে সমস্ত ক্যান্টিনে আসেন বিদেশী পর্যটকরা।
বজরং সেনার তরফে জ্যোতি আগরওয়ালের দাবি , এই সমস্ত ছবিতে ভারতীয় সংস্কৃতির বদনাম হচ্ছে । বিশেষত বিদেশী পর্যটকদের কাছে ভারতের ঐতিহ্য সম্পর্কে ভুল বার্তা যাচ্ছে। পাশপাশি বজরং সেনা জানিয়েছে, এবিষয়ে তাঁরা যোগাযোগ করবেন আর্কিও লজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার কর্তাদের সঙ্গে , দরকারে ভারতের পর্যটন মন্ত্রকের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলবেন।