রাজনৈতিক জীবনে ইতি টানার ইঙ্গিত কমলনাথের, কংগ্রেসের দলীয় বিপর্যয়ের পরেই কী এই সিদ্ধান্ত?
২০২০ সালের শুরু থেকেই সময় ভালো যাচ্ছে না কমলনাথের। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একের পর এক পারাপতন। অবশেষে মার্চে আস্থা ভোটের আগেই মধ্যমপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ কমলনাথের। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে কার্যত কোণঠাসা মধ্যপ্রদেশের এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। এমতাবস্থায় দাঁড়িয়ে সোমবারের একটি জনসভা থেকে রাজনৈতিক জীবনে ইতি টানার ইঙ্গিত দিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে তুমুল শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি এবং বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন কমলনাথ। সহজ কথায় মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক ময়দানে এখনও নীতি-নির্ধারণের দায়িত্ব কমলনাথের উপরেই। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে পদ্ম শিবিরের হাতে বড়সড় ধাক্কা হোক বা সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে পুনরায় বিজেপির হাতে ধরাশায়ী, প্রতিটি সময়েই রাজ্যে কংগ্রেসের চালকের আসনে ছিলেন কমলনাথ। কিন্তু তার নেতৃত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই দলের অন্দরেই একাধিক প্রশ্ন উঠছিল। কিন্তু কিছুতেই কর্ণপাত না করে কার্যত ক্ষমতা দখল করে বসেছিলেন তিনি।
এদিকে সোমবারের জনসভায় দাঁড়িয়ে কমলনাথকে বলতে শোনা যায়, “আমি বিশ্রাম নিতে প্রস্তুত। কোনও পদের জন্যই আমার কোনও উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা লোভ নেই। আমি ইতিমধ্যেই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে ফেলেছি। এবার সময় এসেছে বিশ্রামের।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদরে মতে, প্রবীনদের সরিয়ে কংগ্রেসের সামনে সারিতে নবীনদের জায়গা করে দেওয়ার দাবি দলের অন্দরেই দীর্ঘদিন থেকে উঠছিল। এমনকী এই বিতর্কের জেরে জেরবার হয়েছেন খোদ সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীও। এমতাবস্থায় জাতীয় রাজনীতির ময়দানের পাশাপাশি একই দাবি উঠে মধ্যপ্রদেশেও। তারপরেই চাপের মুখে পড়ে কমলানাথ বর্তমানে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

সরকারে চাকরি প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করুক মমতা! তৃণমূলের আসন সংখ্যা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী মুকুলের