বেঙ্গালুরুতে দিগ্বিজয় আটক হতেই বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ কমলনাথের! মধ্যপ্রদেশ এখন প্রেস্টিজ ফাইট
করোনা ভাইরাস আপাতত দশ দিনের জন্য মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকারকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে। তবে পুরোপুরি ভাবে সরকার বাঁচাতে কংগ্রেসের প্রয়োজন বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের শিবিরে ফেরানো। সেই লক্ষ্যেই আজ বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন দিগ্বিজয় সিং। আর সেখানে তাঁকে হেফাজতে নিতেই ফুঁসে উঠলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ।
বেঙ্গালুরুতে দিগ্বিজয়কে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয়
মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক কেন্দ্রস্থল যে সেই ব্যাঙ্গালোর তা ফের স্পষ্ট হয়ে যায় বুধবার সকাল সকাল। একদিকে যখন মধ্যপ্রদেশের আস্থা ভোট নিয়ে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে গিয়েছএ বিজেপি, অপরদিকে নাটকীয় পরিস্থিতি বেঙ্গালুরুতে। এদিন সকালে বেঙ্গালুরুর রামাদা হোটেলের সামনে ধর্নায় বসেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। আর এর জেরেই প্রতিরোধমূলক ভাবে দিগ্বিজয়কে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয়।
বেঙ্গালুরুতে ২২ বিক্ষুব্ধ বিধায়ক
প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুর রামাদা হোটেলেই রয়েছেন কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়ক। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই এইসব বিধায়ক মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের প্রতি সমর্থন তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এর আগে দিগ্বিজয় সিংকে পুলিশ হোটেলে ঢুকতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তারপরই তিনি ধর্নায় বসেন। তবে তাও সরিয়ে দেয় পুলিশ।
বিজেপিকে কমলনাথের চ্যালেঞ্জ
এরপরই বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে এদিন কমলনাথ বলেন, বিজেপির এত ভয় কিসের? যদি তাদের কাছে সংখ্যা থেকে থাকে তবে তারা আমাদের বিধায়কদের বন্দি করে রেখেছে কেন? আমাদের নেতাদের সঙ্গে তাদের দেখা করতেই বা বাধা দিচ্ছে কেন?
কর্নাটক সরকারকে দোষারোপ শিবকুমারের
এদিকে মধ্যপ্রদেশের এই পরিস্থিতির জন্য কর্নাটকের বিজেপি সরকারকেও দোষারোপ করেন কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার। এদিন তিনি বলেন, 'কর্নাটকের বিজেপি সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। দিগ্বিজয় সিংকে একজন বিধায়ক এখান থেকে ফোন করে বলেছিল যে তাঁদের বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাই তিনি এখানে এসেছিলেন আমাদের বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে। তবে যে ভাবে তাঁকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেল, তা মেনে নেওয়া যায় না।'
বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন দিগ্বিজয়
মুখে মাস্ক পরে রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভে বসে ছইলেন দিগ্বিজয় সিং। পরে পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর পরপর টুইটে নিজেকে গান্ধীবাদী বলে উল্লেখ করেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। তাঁর কারণে বিধায়কদের সুরক্ষায় কোনও বিপদ ছিল না বলে দাবি করেন। তাঁর অভিযোগ, বিদ্রোহী বিধায়কদের আটকে রেখেছে বিজেপি। তারা গণতন্ত্রণকে অপহরণ করেছে।