সরকার বাঁচাতে মরিয়া কমলনাথের শেষ চাল! মধ্যপ্রদেশে আর কতদিন পতন রুখতে পারবে কংগ্রেস?
যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে পৌঁছে পদ্মশিবিরে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আর এরপরেই আরও বেকাদায় পড়ে মধ্যপ্রদেশের কমলানের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার। এরপর সরকার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠা কংগ্রেস সুপ্রিমকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। এবার বেঙ্গালুরুতে থাকা বিক্ষুব্ধ বিধআয়কদের দলে ফেরাতে সময় চাইতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছালেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ।
বিক্ষুব্ধ বিধায়করা এখনও বেঙ্গালুরুতে
জানা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের অন্তত ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়ক বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে আছেন। তাঁদের শিবিরে ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের পদত্যাগী ২২ জন বিধায়কের মধ্যে ১২ জন বিজেপিতে যেতে চান না। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, আমরা মহারাজের সঙ্গে এসেছি, কিন্তু আমরা বিজেপিতে যেতে চাই না। এর ফলে মধ্যপ্রদেশ অঙ্ক বদলাচ্ছে। জানা যায়, এই ১২ বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের বাড়িতে বৈঠকে বসেন।
মধ্যপ্রদেশে কবে আস্থা ভোট?
এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, বিজেপি কবে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে মধ্যপ্রদেশের সরকার ফেলতে। এই ভয়ে রয়েছে কংগ্রেস নিজেও। দিগ্বিজয় সিং আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে কমনাথ পদত্যাগ করবেন না। বরং তিনি আস্থা ভোটে নিজের সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন।
সুপ্রিমকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি কংগ্রেসের
এদিকে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ইস্তফা দেওয়া বিধায়কদের তাঁর সঙ্গে এসে দেখা করতে হবে। তবেই তাঁদের ইস্তফা পত্র বিবেচিত হবে। এরপরই কংগ্রেস অভিযোগ করে, কংগ্রেস বিধায়কদের জোর করে আটকে রাখা হয়েছে কর্নাটকে। তাঁদের ছাড়তে হবে, নয়ত কংগ্রেস সুপ্রিমকোর্টে যাবে তারা। অবশ্য তার আগে বিজেপিকে ঠেকাতে আরও সময় কিনতেই রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন কমলনাথ।
জ্যোতিরাদিত্য দল ছাড়ায় বড় ধাক্কা খায় কংগ্রেস
কংগ্রেসের সঙ্গে ১৮ বছরের সম্পর্ক ছেদের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন মঙ্গলবারই। এরপর বুধবারই পদ্মশিবিরে নাম লেখান কংগ্রেসের হয়ে ৪ বারের সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আর দলবদলে শিলমোহর পড়তেই এবার নিজ রাজ্যে ঘুঁটি সাজাতে ফেরার কথা ছিল সিন্ধিয়ার। যেই কমলনাথের সঙ্গে মনমালিন্যর জেরে দলবদল করলেন, এবার সেই সরকারকে ফেলতে নিজের অনুগতদের সঙ্গে পরামর্শ করতেই রাজ্যে ফেরার কথা সিন্ধিয়ার।
অন্তর্দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি
এদিকে কংগ্রেসের এই দাবিতে দমছে না বিজেপি। তারা নিজেদের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছিল আগেই। তবে সূত্রের খবর, সরকার ফেলা ও নতুন সরকার গঠনের যেই বৈঠক হয়েছিল, তাতে বিজেপির অন্দরেই দেখা যায় কলহ। জানা গিয়েছে সেই বৈঠকেই বচসায় জড়ান বিজেপি বিধায়ক নরোত্তম মিশ্রের সমর্থক ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সমর্থকরা। মনে করা হচ্ছে বিজেপি সরকার গঠন করলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেই টানাপোড়েনের জেরেই এই কলহ শুরু হয়।